কলকাতা, ২২ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বড় স্বস্তি দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ইডির দায়ের করা (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনফরমেশন রিপোর্ট) ইসিআইআরের ভিত্তিতে অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।
সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ, অভিষেকের বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি ইডি। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে এবার পুরদস্তুর আসরে নেমে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের বক্তব্য, অভিষেককে যে অহেতুক হেনস্তা করা হচ্ছিল, সেটা এবার প্রমাণিত হল।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য,”রাজনীতিতে বিরোধীরা শকুনের চোখ লাগিয়ে রাখে। সেজন্য দু-একটি কথা বলে রাখা দরকার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বারবার বলেছেন যে তিনি বিন্দুমাত্র অপরাধ করেননি। কেউ তাঁর বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র কোনও প্রমাণ যদি দেখাতে পারে, তাহলে তিনি নিজে শাস্তি মাথা পেতে নেবেন। আজ আদালতের রায়ে অভিষেকের কথাগুলিই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।”
কুণালের দাবি, “বিজেপি যে এতদিন জোর করে কোনও প্রমাণ ছাড়া স্রেফ রাজনৈতিক ভাবে হেনস্তা করার জন্য অভিষেককে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে, সেটা প্রমাণিত।” একই কথা বলছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও। তাঁর বক্তব্য,”হাই কোর্টের নির্দেশের পর এটা পরিষ্কার অভিষেককে হেনস্তা করার জন্য বারবার লক্ষ্য করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই যে তাঁকে বদনাম করো, এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ শেষ করে দাও। আমরা ধিক্কার জানাই।”
বিরোধীরা অবশ্য অভিষেককে এখনই ক্লিনচিট দিতে নারাজ। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলছেন, অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডির আনা ইসিআইআর পুরোপুরি বাতিল করেনি হাই কোর্ট। অর্থাৎ আদালতও মানছে কিছু একটা ব্যাপার আছে। হয়তো এ বিষয়ে আরও তদন্ত প্রয়োজন।
সিপিএমের আবার প্রশ্ন, অভিষেক যদি নির্দোষই হবেন, তাহলে রক্ষাকবচ চাইছেন কেন? সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “অভিষেককে এত রক্ষাকবচ নিতে হচ্ছে কেন? কখনও মোদীর রক্ষাকবচ, কখনও আদালতের রক্ষাকবচ, এতেই বোঝা যায় ও অপরাধী।”

