ঢাকা, ২১ সেপ্টেম্বর (হি.স.): ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে ভারত থেকে আরও ছয় কোটি ডিম আমদানি করবে বাংলাদেশ । দেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে এই ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে মোট ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের চার প্রতিষ্ঠান থেকে এক কোটি করে মোট চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এবার আরও ছয় কোটিসহ মোট ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয় । কোথা থেকে আমদানি করা হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি কোম্পানি বলেছে যে ভারত থেকে তারা ডিম আনবে। তবে যেকোনো উৎস থেকে তারা ডিম আনতে পারবে, যেখানে দাম কম পাবে, কিংবা যেখান থেকে দ্রুত আনতে পারবে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে নতুন করে আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ছয় কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত সপ্তাহে সরকার প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা দাম নির্ধারণ করে দেয়। কিন্ত এই দামে বাজারে ডিম মিলছে না।
আমদানিতে কোন শর্ত আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কোনো শর্ত নেই। সুবিধামতো আনবে, যাতে ভোক্তারা কম দামে পায়। বিক্রির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যে দাম বেঁধে দিয়েছে, সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ ১২ টাকায় ডিম বিক্রি করতে হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। এজন্য দেশের বাজারে ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবে এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় আমিষের দাম বাড়ার মধ্যে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের প্রভাব পড়েনি রাজধানীর কাঁচাবাজারে।
ওইদিন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা হওয়ায় আমরা এই দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। প্রতি পিস ডিম এখন থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করা হবে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ওই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

