বিদ্যুৎ লাইন ছিন্ন করতে গিয়ে বিদ্যুৎ কর্মী আক্রান্ত

আগরতলা , ১৯ সেপ্টেম্বর : হূক লাইনে বিদ্যুৎ চুরি ও বিদ্যুৎ অপচয়ের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। হোক লাইনে বিদ্যুৎ চুরির ফলে একদিকে যেমন বৈধ গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ঠিক তেমনি বিদ্যুৎ গোলযোগও মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিদ্যুৎ নিগম বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করার জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বিদ্যুৎ লাইন ছিন্ন করতে গিয়ে প্রায়ই বিদ্যুৎ কর্মীরা  আক্রান্ত হচ্ছেন।
রাজ্য সরকার এবং বিদ্যুৎ দপ্তর সরকারি বিদ্যুৎ সংযোগ সঠিকভাবে ব্যবহার এবং বিল প্রদানের উপর গুরুত্ব আরোপ করলেও কিছু সংখ্যক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগকারীর কারণে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। যেসব বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা অবৈধ হুকলাইন কাটতে যাচ্ছে উল্টা তারা আক্রমণের শিকার হচ্ছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের হাফলং সাব স্টেশনের অধীন মধুবন এডিসি ভিলেজের ৮০ ধুন এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা, সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ দপ্তরের অস্থায়ী কর্মী হরিচরণ নাথ সোমবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে মধুবন এডিসি ভিলেজের ৮০ ধুন এলাকায় যেখানে বিদ্যুৎ সংযোগের সমস্যা দেখা দিয়েছে সেখানে যায়। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পায় যেখানে লাইনের সমস্যা রয়েছে সেখানে এলাকার প্রণয় নাথের বৈধ সংযোগটি কাটা এবং একটি অবৈধ সংযোগ রয়েছে। হরিচরণ নাথ যথারীতি অবৈধ হুক লাইনের সংযোগটি কেটে দিয়ে বিদ্যুতের লাইন মেরামত করে। কাজ শেষ হতে হতে প্রায় রাত সাড়ে আটটা বেজে যায়। প্রণয় নাথের অবৈধ হুকলাইন কাঁটা হয়ে গেছে খবর পেয়ে প্রণয় নাথ লাঠিসোটা নিয়ে এসে হরিচরণ নাথের উপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে হরিচরণ নাথ হাতে পায়ে বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতবিক্ষত হয়। বিদ্যুৎ দপ্তরের অন্যান্য কর্মীরা প্রণয় নাথের হাত থেকে হরিচরণ নাথকে ছুটিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়ে তারা খালি হাতে ঘুরে আসে। অবশেষে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হরিচরণ নাথ এবং তার সঙ্গের কর্মীকে ধর্মনগর অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর কর্মীরা ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় এনে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে সে উত্তর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গেছে হরিচরণ নাথের বাড়ি ধর্মনগর থানাধীন যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্রের আনন্দবাজারে। এভাবে যদি বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা অবৈধ হুক লাইনের বিদ্যুৎ সংযোগ কাটতে গিয়ে আক্রমণের শিকার হয় তবে কোন জায়গায় বিদ্যুতের সমস্যা হলে বিদ্যুৎ কর্মীরা এলাকায় যাওয়ার জন্য নিরাপত্তার ভূমিকা কে নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ কর্মীরা উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *