কলকাতা, ৫ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : চন্দ্রায়ণ ৩ অভিযানে ইসরোর বাঙালি বিজ্ঞানীদের অবদানের জন্য আগেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানেও সেই গর্বের কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার শিক্ষারত্ন এবং সেরা বিদ্যালয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের অনুষ্ঠানে ইসরোর বাঙালি বিজ্ঞানীদের সাফল্য নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ আমি গর্ব করে বলি, ইসরো যে চন্দ্রযান পাঠালো সেই কাজে বাংলার ৩৮ জন ছিলেন। বাংলার মেধা, প্রতিভাকে সারা ভারতবর্ষ সেলাম জানায়।’
বাংলার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সব রকম সুবিধা আছে, ছেলেমেয়েদের এ রাজ্যে থেকেই পড়াশোনা করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি জানান, এ রাজ্যের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সেরার সেরা শিরোপা পেয়েছে। বাংলাতেই মেধাবীদের কাজ করার বার্তা দেন তিনি।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে পড়ুয়াদের জন্য মোবাইল কেনার অর্থ সাহায্য করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর এদিন জানান, গত তিন বছরে ২৭ লাখ ছাত্র-ছাত্রীকে এই অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে মোট ৩৭০০ কোটি টাকা। কোভিড এর সময় থেকেই এই প্রকল্প চালু করা হয়। পড়ুয়াদের পড়াশোনার স্বার্থে এই প্রকল্প সাফল্য লাভ করেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
দূর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আলিপুরদুয়ার জেলায় গভর্মেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট কলেজের নতুন কলেজে উদ্বোধন করা হল। এর পাশাপাশি, গড়িয়া দীনবন্ধু এন্দ্রুস কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধন করা হয়। পুরুলিয়া এবং ইসলামপুর ব্লকে চারটি মডেল স্কুলের উদ্বোধন করা হয়। বাঁকুড়া শালতোড়া ব্লকে মেয়েদের হস্টেল উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও রাজ্যের স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের ৩৯৬৬ টি ডাইনিং হল উদ্বোধন করা হয়।