মিষ্টি হাব তৈরির কথা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা, ২৯ আগস্ট (হি. স.) : পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে ‘মিলন উৎসব’-এর সভায় যোগ দিয়ে একাধিক ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার এই সভা থেকে তিন নয়া মিষ্টি হাব-এর কথা ঘোষণা করলেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, ইকো পার্কের পর এবার মৌলালির কাছে তৈরি হচ্ছে নয়া মিষ্টি হাব। চন্দননগরের জলভরাকে প্রচারে আনতে আসছে একটি মিষ্টি হাব। এছাড়াও আরও একটি মিষ্টি হাবের ঘোষণা এদিন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের সঙ্গে মিলিয়ে সেই মিষ্টি হাবের নয়া নামও রাখলেন তিনি ‘মিষ্টান্ন’।দিলেন একাধিক কর্মসংস্থানেরও খবর। এই নামকরণের প্রসঙ্গেই নিজের মনের একটি কথা এই সভায় সকলের সামনে রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। শহরে তৃতীয় মিষ্টি হাবের কথা ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী সেই জায়গার নামও ঠিক করে দেন।

এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান ক্ষুদ্র ও মাঝাারি শিল্প দফতরের উদ্যোগেই মৌলালির কাছে তৈরি হচ্ছে ‘মিষ্টিদ্যোগ’। সেখানে প্রায় ২০টা মিষ্টির স্টল থাকবে। সেখানে ফুড কোর্ট ও মিষ্টি প্যাকেজিংয়েরও ব্যবস্থা থাকবে।

ইকো পার্ক মিষ্টি হাব-এর বিপরীতে ২০ কাঠা জমির উপর ভবিষ্যতের মিষ্টি হাবের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী বিধানসভায় বিল হিসেবে এই তৃতীয় মিষ্টি হাবের প্রস্তাব আনার নির্দেশ তিনি ফিরহাদ হাকিমকে দেন। মিষ্টি ব্যবসায়ীকে এই জমি এক টাকায় দেওয়ার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সমস্ত জেলার মিষ্টির স্টল রাখার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্বপ্ন, বাংলার সমস্ত মিষ্টিই জিআই ট্যাগ পাবে।

সভায় ভিড়ের মধ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের তরফ থেকে কয়েকজন তাঁর নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে বা বাবা-মায়ের নামে নাম রাখতে অনুরোধ করেন।

মুখ্যমন্ত্রী এই আবেদন শুনে অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে সেই আবেদন ফিরিয়ে দিয়ে জানান, ‘না না, আমি আমার নামে কিছু চাই না। আমি আমার বাবা মায়ের নামেও কোনও কিছু করতে দিই নি। মনে রাখবেন আমি একা নই। আপনাদের নিয়েই তো সব কিছু। তাই সবার জন্য।

তিনি বলেন, আমার কোনও কিছুতেই আসক্তি নেই। জীবন আজ কাল নেই। আমি প্রতিদিন শুয়ে ভাবি, আজ আছি এই খাটে শুচ্ছি, কাল যখন থাকব না, তখন সেটার দেখারও লোক থাকবে না। অনেকে আছে টাকা রোজগার করে জমিয়ে, এদিক ওদিক করে লুকিয়ে রাখে। কাউকে জানতে দেয়নি। অথচ সেটা নিজেরা উপভোগ করতে পারেন না। মরে যাওয়ার পরে জানতেও পারে না। কী লাভ!’