দত্তপুকুর, ২৭ আগস্ট (হি.স.): উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। দত্তপুকুরের নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের আওতাধীন মোষপোল পশ্চিম পাড়া অঞ্চলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে দুই পরিবারের কমপক্ষে ৭ জন প্রান হারিয়েছেন। আরও কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সকালের এই ঘটনার জেরে ধ্বংসস্তুপের নীচে এখনও বেশ কয়েকজন চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একটি দোতলা বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়দের অনুমান, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ওই বাজি কারখানাটি অবৈধ ভাবে চলছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ ও বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দত্তপুকুরের ওই বাজি কারখানাটিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, আশপাশের বাড়িগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে বাজি কারখানাটি চলছিল। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। বারাসত পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যান। বেসরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ১০। তবে, দমকল অফিসার আশিস ঘোষ বলেছেন, ৫টি দেহ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই বাজি কারখানা সম্পর্কে বার বার প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই স্থানীয়রা তাঁদের কাছে ক্ষোভপ্রকাশ করতে থাকেন। এই বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা সামসুল আলি বেআইনি বাজির কারবার চালাতেন বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৭ জনের। আশপাশেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ছিন্নভিন্ন দেহাংশ। কোথাও গাছের ডালে, আবার কোথাও টালির চাল থেকে মৃত ব্যক্তিদের দেহাংশ ঝুলতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, বেশ কয়েক জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মৃতের সংখ্যা ১০ পেরিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর।