আগরতলা, ১৮ আগস্ট: প্রতি বছর শ্রাবণ সংক্রান্তিতে মনসা পুজো করা হয়ে থাকে। এদিন সূর্য কর্কট রাশি ত্যাগ করে সিংহ রাশিতে প্রবেশ করে। আজ থেকেই শুরু হয়েছে ভাদ্র মাস। ১৮ অগাস্ট শুক্রবার ঘরে ঘরে শ্রদ্ধার সঙ্গে পূজিতা হচ্ছেন দেবী মনসা। বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। সেই কারণে এই সময় সর্পদেবীর পুজোর প্রচলন হয়। মনসার পুজো করলে সাপের কামড় থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে প্রচলিত মাটির সরায় দুধ ও কলা দিয়ে দেবী মনসাকে পুজো করা হয়। সারাদিন উপোস করে পুজো শেষে সাবু-দুধ-কলা দিয়ে মনসার পুজো সম্পন্ন করে তবে উপবাস ভাঙেন মহিলারা। সমাজে কী ভাবে এই পুজোর চালু হল, তার পেছনে পুরাণের কাহিনি প্রচলিত রয়েছে। পুরাণ অনুসারে মনসা হলেন শিবের মানসকন্যা ও জরৎকারুর পত্নী। জরৎকারু মনসাকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মাতা পার্বতী প্রথমে তাঁকে ঘৃণা করলেও পরবর্তীকালে দেবী চণ্ডী মনসাকে নিজের মেয়ের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। তবে কোনও কোনও প্রাচীণ গ্রন্থ অনুসারে শিব নয়, ঋষি কাশ্যপ হলেন মনসার পিতা। মনসা এমনিতে ভক্তবৎসল হলেও তাঁর পুজো করতে অস্বীকার করলে তিনি নির্দয় হয়ে থাকেন। যাই হোক এদিন সকাল থেকে বাড়ি বাড়ি ছিল নাগ দেবীর আরাধনা। রীতিনীতি মেনে সকলে অংশ নেয় পূজায়।