জাতীয় সড়ক নিয়ে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ স্থানীয়দের

 আগরতলা, ১৭ আগস্ট : কাঞ্চনপুর থেকে লালছড়া পযর্ন্ত  আঠারো কিলোমিটার রাস্তা  নির্মানের নামে নজির বিহীন কেলেঙ্কারির চিত্র প্রকাশ‍্যে এসেছে ।  এনএইচ আইডিসিএলের প্যাকেজ টু কাঞ্চনপুর থেকে লালছড়া এই ডাবল লেন রাস্তার কাজ হচ্ছে।  এই ডাবল লেনের রাস্তার কাজটির দায়িত্ব এনএইচআইডিসিএলের  ঠিকাদার হলো জেকেএম  ইমফ্রা ওয়ার্ক এলএলপি  নামে গৌহাটির একটি বেসরকারি  কোম্পানি। রাস্তার কাজের পাশে কোথাও কোন সাইনবোর্ড নেই যাতে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে  কাজটির বরাদ্দ কত এবং কত কিলোমিটার রাস্তা হবে। জানা গেছে  প্রায়  তিনশ  কোটি  টাকা রাস্তাটির কাজের জন্য বরাদ্দ  করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ  রাস্তার কাজের শুরুতেই অত্যন্ত নিম্নমানের  কাজ করা হচ্ছে। রাস্তার পাশে যে দেওয়াল হচ্ছে তাও অত্যন্ত নিম্নমানের পাথর সিমেন্ট রড   ব‍্যবহার করে  করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি যেভাবে বড় বড় বোল্ডার বসিয়ে আরসিসি ঢালাই হচ্ছে তা কিভাবে এনএসআইডিসিএলের বাস্তুকাররা মেনে নিচ্ছেন তা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে তিনশ কোটি টাকা ব‍্যয়ে নির্মিত এই রাস্তাটির স্থায়িত্বকাল  নিয়ে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের জনগণের মনে।  লাগাম ছাড়া কেলেঙ্কারিতে  এনএইচআইডিসিএলের জিএম বিদ্যাসাগর সিং এবং কাঞ্চনপুরের দায়িত্ব প্রাপ্ত  কুন্দন সিং সরাসরি এই রাস্তার দায়িত্বে রয়েছেন । তাদের আধিকারিকদের নজরদারিতেই সীমাহীন কেলেঙ্কারি চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের  । এই  কেলেঙ্কারি নিয়ে জি এম বিদ্যাসাগর সিংকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন গোটা বিষয়টি ।  এনএইচআইডিসিএলের দায়িত্ব প্রাপ্ত কুন্দন সিং কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রথমে জানান একটু পরে ফোন করবেন কিন্তু পুনরায় ফোন করলে বিরক্ত হয়ে বলেন এই কোটি কোটি টাকার রাস্তার কাজ নিয়ে কোন ধরনের তথ্য না জানাতে উপরের নির্দেশ দিয়েছে। তাই তিনি কিছুই জানাতে পারবেন না ।

এদিকে দেখা যাচ্ছে চলতি বর্ষাতেই বৃষ্টির জলে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় মূল সড়কে বড় বড় ফাটল তৈরি হয়ে সম্পুর্ন সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক সড়কের চিত্র সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দেখা যাচ্ছে অধিকাংশই কেন্দ্রীয় সংস্থার দ্বারা নির্মিত সড়কগুলোর এমন বেহাল অবস্থা । কোন কোন ক্ষেত্রে নির্মাণের ছয় মাসের মধ্যেই সাধারণ বর্ষার জলে তলিয়ে যাচ্ছে সড়ক। অথচ হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা খরচ করছে সড়ক নির্মাণের জন্য সরকার। যদি কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থায় এমন দুর্নীতি চলছে থাকে তাহলে আগামীতে রাজ্যের নাগরিকের জন্য চরম দুর্ভোগে অপেক্ষা করছে বলে তথ্য বিজ্ঞমহল মনে করছেন।