শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের বাড়ির কাছে অবস্থান বিক্ষোভ তৃণমূলের

শিলিগুড়ি, ৬ আগস্ট (হি.স.): পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের বাড়ির কাছে অবস্থান বিক্ষোভ করলেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা। এদিনের অবস্থান বিক্ষোভ থেকে বিজেপি বিধায়কের কাছের বঞ্চনার কারণ জানতে চায় তৃণমূল৷ এমনকি বাংলার মানুষের জন্য কি করেছেন তাও জানতে চাওয়া হয় ।

হাই কোর্টের আপত্তিতে ঘেরাও কর্মসূচির বদলে রবিবার রাজ্যজুড়ে ব্লকে ব্লকে বিজেপি নেতাদের বাড়ির অদূরে অবস্থান বিক্ষোভে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস । পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রবিবার শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের বাড়ির কাছে করুণাময়ী কালী মন্দিরের সামনে মঞ্চ বেঁধে টাউন-২ কমিটির তরফে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা। এই কর্মসূচিতে দলের জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, রঞ্জন সরকার সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের কাছের বঞ্চনার কারণ জানতে চায় তৃণমূল৷ এমনকি বাংলার মানুষের জন্য কি করেছেন তাও জানতে চাওয়া হয় ।

পাশাপাশি এদিন এই একই উদ্দেশ্যে মাটিগাড়ায় সাংসদ রাজু বিস্তের বাসভবনের অদূরে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। এদিন সব মিলিয়ে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কমিটির অধীনে ১০টি সাংগঠনিক ব্লকে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

প্রসঙ্গত, একুশের মঞ্চে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসূচির ঘোষণা করেছিলেন। বিজেপি নেতাদের ঘেরাও অভিযান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগামী ৫ আগস্ট কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ যত বিজেপি নেতাকর্মী আছেন, তাঁদের বাড়ির বাইরে ঘেরাও অভিযান করবেন তৃণমূল কর্মীরা। ব্লক স্তর থেকে শুরু করে বুথ স্তর পর্যন্ত, ছোট, বড়, মেজো সব বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করা হোক। অভিষেকের বক্তব্য ছিল, ওই বিজেপি নেতার বাড়ির কোনও বয়স্ক সদস্য থাকলে তাঁরা যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু ওই বিজেপি নেতা যেন বাড়ি থেকে বেরতে না পারে। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ ৩৪১ ব্লকের সব বুথে এই কর্মসূচি চেয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। যদিও পরে সেই কর্মসূচি কিছুটা শুধরে দেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, “অভিষেক যে কর্মসূচির কথা বলেছে, সেটা আমি বলব শুধু ব্লক স্তরেই করো। বিজেপি নেতাদের বাড়ি থেকে অন্তত ১০০ মিটার দূরত্ব রেখে করো। যাতে যাতায়াতে অসুবিধা হয়। যাতে কেউ বলতে না পারে আমাদের হ্যারাস করা হয়েছে।” মমতার কথায়, ‘ওটা প্রতীকী ঘেরাও হোক।’ জল গড়ায় আদালতে। আদালতের ভর্ৎসনার পর দিন বদলে ৬ আগস্ট অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব । আজ ব্লকে ব্লকে সেই কর্মসূচিই পালন করছে তৃণমূল ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *