নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২ আগস্ট৷৷ কৈলাসহর মহকুমার একাধিক গ্রামীন এলাকায় ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের বেড়া কেটে অবাধে চলছে চুরি, অনুপ্রবেশ ও পাচার। নীরব ভূমিকা পালন করে চলেছে সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিএসএফের জোয়ানরা। তাতে স্বভাবতই আতঙ্কে নাগরিকরা।বিগত দুই মাস ধরে কৈলাসহর মহকুমার বিভিন্ন সীমান্ত গ্রামগুলিতে ধারাবাহিক চুরি ,অনুপ্রবেশ ও পাচারের ঘটনা সংঘটিত হলেও বি.এস.এফের তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ভূমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বিশেষ করে বি.এস.এফ-এর ১৯৯ ব্যাটেলিয়ান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অসুরক্ষিত হয়ে পড়েছে মহকুমার সীমান্ত গ্রামগুলি। বাদ যাচ্ছে না সীমান্ত লাগোয়া পুর পরিষদ এলাকাও। গতকাল গভীর রাতেও আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কেটে চন্ডিপুর ব্লকের অধীনে সমরুরপার গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা সাধন দেবের বাড়িতে প্রবেশ করে চোরের দল। গরু ঘরের বেড়া কেটে গরু চুরি করার চেষ্টা করে। যদিও বাড়ির লোকেদের তৎপরতায় চুরি করতে ব্যর্থ হয় চোরের দল। এলাকায় রাত্রিকালীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি উঠেছে। এলাকাবাসীর তরফ থেকে বিষয়টি জেলাশাসক এবং জেলা আরক্ষা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সমরুরপার গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ২নং এবং ৩ নং ওয়ার্ড এলাকাটি ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। এই এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া দেখলেই সহজে অনুমান করা যায় যে, সীমান্ত রক্ষী জোয়ানরা নিজেদের কর্তব্য পালনে কতটা ব্যর্থ। শুধুমাত্র সমরুর পাড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়ই নয়, কৈলাসহর মহকুমার লাটিয়াপুরা, মাগুরুলি, হীরাছড়া, মূর্তিছড়া, পুরপরিষদের ১ নং ওয়ার্ড এলাকা এখন আন্তর্জাতিক পাচারকারীদের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত। ক্রমশ ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা। সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে বিজেপি চন্ডিপুর মন্ডলের এস.সি মোর্চার মণ্ডল সভাপতি তথা মন্ত্রী টিংকু রায়ের বিধানসভা কেন্দ্রের প্রভাবশালী নেতা তথা মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ দুলাল কৃষ্ণ দাস বলেন, এই এলাকায় বিগত এক থেকে দেড় মাস ধরে বিভিন্ন ধরনের পাচার বাণিজ্য চলছে, রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশীও প্রবেশ করছে অবৈধভাবে সমরুরপার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে। পাশাপাশি অনেক গরু চুরি হয়েছে। ১৯৯ নং ব্যাটেলিয়ান বি.এস.এফ জোয়ানদের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন তিনি বলেন এর আগে এমনটা হয়নি।