কাটিহার, ২৬ জুলাই (হি.স.) : বিহারে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভরতি আরও দু’জন। জানা গিয়েছে, জঘন্য পরিষেবা ও বিদ্যুতের চড়া দামের জেরে নাজেহাল হয়ে পড়েন কাটিহারের বারসই এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের প্রতিবাদের জমায়েতেই লাঠিচার্জ, গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশের গুলিতে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাকে জালিয়ানওয়ালাবগের মাইকেল ডায়ারের সঙ্গে তুলনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।
কিছু দিন ধরে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে কাটিহারের বিভিন্ন এলাকায়। এ নিয়ে অভিযোগ জানাতে বুধবার বিদ্যুৎ দফতরের অফিসের সামনে হাজির হন প্রচুর মানুষ। অভিযোগ, আন্দোলনরত কয়েক জন বিদ্যুৎ দফতরের ভবনে ইট-পাটকেল ছোড়া শুরু করেন। এমনকি, অফিসে ঢুকে কেউ কেউ ভাঙচুর চালান। খবর যায় পুলিশের কাছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। কিন্তু তাতে আরও ভয়াবহ হয়ে উঠে পরিস্থিতি। এর পর শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। সেই সময়েই গুলিবিদ্ধ হয়ে মহম্মদ খুরশিদ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আহত দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। গুরুতর জখম এক ব্যক্তিকে শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
কাটিহারের পুলিশ সুপার সংবাদমাধ্যমকে বলেন,‘‘বিদ্যুৎ দফতরে ভাঙচুর চালাচ্ছিলেন উত্তেজিত জনতা। সেই গন্ডগোলের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। দু’জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে জেলাশাসক এসেছেন। প্রচুর পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’’
অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশের গুলিতে অন্তত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ শূন্যে গুলি চালায়নি।
গোটা ঘটনায় নীতীশ কুমারের প্রশাসনের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র শেহনাজ পুনাওয়ালা বলেন, “বিহারের জেনারেল ডায়ার বিক্ষোভকারীদের দিকে গুলি চালিয়েছেন। বিহারের জনতা যখনই নিজেদের অধিকারের দাবি তোলেন তখনই তাঁদের কপালে লাঠি আর গুলি জোটে। কয়েকদিন আগে এক বিজেপি নেতাও লাঠির আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন। নীতীশ কুমার কি জেনারেল ডায়ারের প্রতিচ্ছবি? তাঁরা কি গণতন্ত্রকে আদৌ রক্ষা করছেন?” নীতীশ কুমারের সরকারকে হিটলারের শাসন বলেও অভিহিত করেছে বিহার বিজেপি।