BRAKING NEWS

মণিপুর সহ গোটা দেশে নারী-সুরক্ষার দাবিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে স্মারকপত্র মণিপুর ভিডিও-কাণ্ড : প্রতিবাদে হাফলঙে জেলার বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের মিছিল

হাফলং (অসম), ২৫ জুলাই (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলায় অব্যাহত রয়েছে মণিপুরে ‘মানব সমাজকে লজ্জানত’ করার ঘটনার প্রতিবাদ। সোমবার মাহুরে মণিপুরে সংগঠিত হিংসাত্মক ঘটনা ও মহিলাদের উপর অমানবিক বর্বরোচিত অত্যাচার, দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের প্রতিবাদে ডিমা হাসাও জেলার মাহুরে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালনের পর আজ মঙ্গলবার পাহাড়ি জেলার সদর শহর হাফলঙে জেলার বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করা হয়।
আজ মঙ্গলবার শৈলশহর হাফলঙে জেলার বিভিন্ন জাতি জনগোষ্ঠীর মহিলা সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে হাফলং পুরসভার মাঠ থেকে কালো কাপড় পরে সহস্রাধিক মহিলাদের এক বিশাল মিছিল সমগ্র শহর পরিক্রমা করে বেটি বাঁচাও ভারত বাঁচাও, ধর্ষকদের ফাঁসি চাই, মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগ চাই, ইত্যাদি স্লোগানে হাফলং শহরের রাজপথ উত্তাল করে তোলা হয়। মিছিল সমগ্র শহর পরিক্রমা করে হাফলং জেলা কমিশনারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে যায়। সেখানে মিছিলকারীরা জেলা কমিশনার সীমান্তকুমার দাসের মাধ্যমে এক স্মারকলিপি ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন।
এদিন মহিলা প্রতিবাদকারীরা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সবসময় নারীর সম্মানের কথা বলেন। কিন্তু আজ ভারতে নারীরা সুরক্ষিত নন। নারীর ওপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হচ্ছে। এমন-কি মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করার ঘটনা অতি অমানবিক। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে পায়ে হাঁটিয়ে, প্রকাশ্য দিবালোকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনা সমগ্র সমাজকে লজ্জানত করছে। তার পরও কেন্দ্রীয় সরকার ও মণিপুর সরকার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এমন-কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণিপুরের ঘটনায় চুপ করে আছেন।
প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ, মণিপুরে সংখ্যলঘু উপজাতি মহিলারা একেবারে সুরক্ষিত নন। তাই মণিপুরে সংখ্যালঘু উপজাতি জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্য পৃথক প্রশাসনিক ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদকারীরা অবিলম্বে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগের দাবি জানান। তাছাড়া গত ৪ মে দুই কুকি মহিলার ওপর অমানবিক ও বর্বর অত্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়ে মহিলাদের সুরক্ষা দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিবাদকারী মহিলারা। যাতে ভবিষ্যতে শুধু মণিপুর নয়, ভারতের যে কোনও জায়গায় এ ধরনের ঘটনা সংগঠিত না হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *