নয়াদিল্লি, ২০ জুলাই (হি.স.): আশঙ্কা ছিলই, আর তাই হল। মণিপুর ইস্যুতে বৃহস্পতিবার বাদল অধিবেশনের প্রথম দিন উত্তাল হল সংসদ। সংসদের উভয়কক্ষে বিরোধীদের হইহট্টগোলের জন্য লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন দিনের মতো মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে। এদিন রাজ্যসভায় মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেছেন, “মণিপুর জ্বলছে। মেয়েদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, নগ্ন করে রাস্তায় ঘোরানো হচ্ছে এবং প্রধানমন্ত্রী চুপ করে বাইরে বক্তব্য রাখছেন।”
যদিও, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সরকার আলোচনার জন্য প্রস্তুত। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, “আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছি, যে আমরা উভয় কক্ষে মণিপুর নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। মণিপুর একটি স্পর্শকাতর বিষয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্তারিত আলোচনার জবাব দেবেন। স্পিকার আলোচনার তারিখ নির্ধারণ করুক।”
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। বেলা এগারোটা থেকে শুরু হয় লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন। অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই সংসদের উভয়কক্ষে সাম্প্রতিক সময়ে প্রয়াতদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন সাংসদরা। গত জুন মাসে প্রয়াত সাংসদ হরদ্বার দুবের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যসভার অধিবেশন দুপুর ১২টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি হয় দুপুর দু”টো পর্যন্ত। লোকসভায় এদিন সাংসদ হিসেবে শপথ নেন আম আদমি পার্টির সুশীল কুমার রিঙ্কু। রাজ্যসভায় বারোটার পর অধিবেশন শুরু হলেও, মণিপুর ইস্যুতে আলোচনার দাবি জানান বিরোধীরা। এরপর দুপুর দু”টো পর্যন্ত মুলতুবি করে দেওয়া হয় রাজ্যসভার অধিবেশন। দুপুর দু”টোর পর উভয়কক্ষের অধিবেশন শুরু হলেও, হৈহট্টগোল চলতে থাকে। এরপর দিনের মতো উভয়কক্ষের অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের সময় হিংসার ঘটনায় এদিন সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বঙ্গ বিজেপির সাংসদরা। উপস্থিত ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

