কলকাতা, ১৮ জুলাই (হি.স.) : “শ্রী শিব মহাপুরাণের কাহিনী অসীম কল্যাণময়। শুধু শ্রবণ করলেই সকল পাপ বিনষ্ট হয়। এই গল্পের মাধ্যমে, ভৌত, ঐশ্বরিক এবং বস্তুগত তিন প্রকারের তাপ প্রশমিত হয়।” এই কথাগুলি ব্যক্ত করেছিলেন পরম পূজ্য মহারাজ শ্রী মৃদুল কান্ত জি শাস্ত্রী, ‘দ্য স্ট্যাডাল’-এ পুরুলিয়ায় প্রস্তাবিত কলেজ ছাত্রদের জন্য হোস্টেল নির্মাণের জন্য কলকাতা-হাওড়া মেট্রোপলিটনের পূর্বাচল কল্যাণ আশ্রম দ্বারা আয়োজিত সাত দিনব্যাপী শিব মহাপুরাণ কথা শুরু করার সময়। পুরুলিয়ায় প্রস্তাবিত কলেজে ছাত্রদের জন্য হোস্টেল নির্মাণের জন্য আয়োজিত সাত দিনের শিব মহাপুরাণ কথা মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। মহারাজ শ্রী গল্পের মহিমা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, এই গল্পের শ্রোতারা যেখান দিয়ে যায়, সেসব স্থানও শিবের কৃপায় অভিষিক্ত হয়। তাহলে তাঁর বাড়িতে শিবের কৃপা সম্পর্কে আমরা কী বলব? তিনি বলেন, শিবকথা শ্রাবণ মাসের অলংকার। দেবরাজের ঘটনা বর্ণনা করে মহারাজ বলেন, আমরা যখনই চাই আর যতটুকু চাই, ঈশ্বরের কাছে আমরা তা পাই না। কখন কতটা উপকারী, জীবের জন্য উপকারী তা ভগবান দেখেন।
গল্প শুরুর আগে মহারাজের বাবা শ্রী বিষ্ণুকান্তজি আচার্য, অনুষ্ঠানের সভাপতি ললিত বেরিওয়াল, উদ্বোধন করেন বজরঙ্গলাল আগরওয়াল, প্রধান হোস্ট সঞ্জয় গুপ্ত, বিশেষ সহযোগী রাজেশ আগরওয়াল (গণপতি), সর্বভারতীয় বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের বরিষ্ঠ অধিকারী কৃপা প্রসাদ সিং, কলকাতার সভাপতি ড. মহানগর জিতেন চৌথরি শঙ্করলাল হাকিম, হাওড়া মহানগরের সভানেত্রী শ্রীমতি শকুন্তলা বাগদি, মহানগর মহিলা সমিতির সভানেত্রী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রদীপ জ্বালিয়ে ব্যাস পীঠে প্রণাম করেন এবং মহারাজের কাছ থেকে আশীর্বাদ গ্রহণ করেন।
সভাপতির ভাষণে ললিত বেরিওয়াল বলেন, কলকাতার বাসিন্দাদের জন্য এটা একটা বিরল সুযোগ যে আমরা শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন থেকেই দেবাধিদেব মহাদেবের পবিত্র কল্যাণকারী শিবপুরাণের সাতদিনের কাহিনি শোনার সুযোগ পাচ্ছি। পুরুষোত্তম মাসে আরও বেশি।
এই উপলক্ষ্যে, পূর্বাচল কল্যাণ আশ্রমের পরিষেবার কথা জানিয়ে বলা হয় যে সংগঠনটি ৫৫ হাজার গ্রামে ১১ কোটি বনবাসীকে সেবা দিচ্ছে। সংস্থার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত ২৫০টি হোস্টেল ( ৩৫টি বালিকা হোস্টেল সহ) থেকে ১০, ০০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থী উপকৃত হচ্ছে।
এই অনুষ্ঠানটি ২৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে, যেখানে মহারাজ শ্রী প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে ৬টা পর্যন্ত কথা বক্তৃতা দেবেন। বক্তব্য উপস্থাপন করেন হাওড়া মহানগর মহিলা সমিতির বোনেরা। অনুষ্ঠানটি সফলভাবে পরিচালনা করেন শশী মোদী।