কলকাতা, ১৮ জুলাই (হি স)। মঙ্গলবার সপ্তাহের দ্বিতীয় কাজের দিনে আচমকা বিধান নগরে বিকাশ ভবনের ফটকের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এসএলএসটি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর চাকরি প্রার্থীরা। পরে পুলিশ এসে তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
আইনি জটিলতা কাটিয়ে ‘সুপার নিউমেরারি’ পোস্টে মেধা তালিকার সকলের নিয়োগের দাবি জানিয়ে এসএলএসটি-র নবম থেকে দ্বাদশ চাকরি প্রার্থীদের বিকাশ ভবনের গেটের সামনে এই বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ এসে তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।
এর পর পুলিশের ব্যবস্থায় তিনজনের একটি প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবনে স্মারকলিপি জমা দিতে যান। এই বিক্ষোভের কারণে বিকাশ ভবনের সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়ন করা হয়। এক আন্দোলনকারী দাবি করেন, ‘আমরা এসএলএসটি-র নবম থেকে দ্বাদশ চাকরিপ্রার্থী। গত ৮৫০ দিনেরও বেশি গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছি। সরকার বারে বারে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু বারে বারে আমাদের শুধুই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সবাই। প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতির নামে প্রতারণা চলছে এবার।
সরকার সদিচ্ছা দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনি জটিলতা কাটিয়ে সুপার নিউমেরারি পোস্ট নিয়োগের জন্য যে ছাড়পত্র সেটা সরকার করাচ্ছে না, বা সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না’। আজকে আন্দোলনকারীরা শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। তাঁদের দাবি যে সুপার নিউমেরারি পোস্টে দ্রুত আইনি জটিলতা কাটিয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ছাড়পত্র এনে তাঁদের এই পোস্টে নিয়োগ দিন।
এই দাবি নিয়ে তাঁদের আজকের এই বিক্ষোভ বলে জানান আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও এসএলএসটি-র চাকরিপ্রার্থীদের বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে দেখা গিয়েছে। আর তা নিয়ে রণক্ষেত্র হয়েছে করুণাময়ী এলাকা।
এছাড়াও এক মাস আগে এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা ধর্মতলায় তাঁদের বিক্ষোভস্থলের কাছে এসএসসি-র শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, এসএসসি থাকলেও গত সাতবছর ধরে তাঁদের বিভাগে কোনও নতুন নিয়োগ হয়নি।
নিজেদের ভূমিকা পালনে এসএসসি ব্যর্থ, এমনটাই দাবি করে প্রতীকী শ্রাদ্ধানুষ্ঠান পালন করেন চাকরিপ্রার্থীরা। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই হাতে থালা, মুখে কালি মেখে প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁরা। মহিলাদের পরনে ছিল কালো পোশাক। স্লোগান উঠেছিল, চাকরি চাই, অন্ন চাই। মেয়ো রোডে ধর্ণামঞ্চে মুখে কালি মেখে প্রতিবাদ জানান এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা।