শাড়ি, মোবাইলের বিল প্রদান সহ বিভিন্ন দাবীতে তিন শতাধিক অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমনির ডেপুটেশন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুলাই৷৷ বিশালগড় আইসিডিএস প্রজেক্ট এর অধীন ৩৭৭ জন অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমণি সোমবার দিন বেলা দেড়টায় বিশ্রামগঞ্জ স্থিত সিপাহীজলা জেলাশাসক অফিসের জেলা সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা আধিকারিক উত্তম কুমার দাসের নিকট বিভিন্ন দাবি দেওয়া নিয়ে এক ডেপুটেশন প্রদান করেন৷ বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছে৷ বাজারের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে বাজারে জিনিসপত্রের দাম যত টাকা সেই পরিমাণ টাকা দিতে হবে অথবা অফিস কর্তৃক দ্রব্য প্রদান করতে হবে নতুবা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে খিচুড়ি ছাড়া সমস্ত পরিষেবা চলতি মাস থেকে বন্ধ থাকবে৷ মোবাইলের মাধ্যমে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে বসে দিদিমণিদের কাজ করতে হয়৷ প্রায় তিন থেকে চার বছর যাবৎ মোবাইলের রিচার্জের টাকা দেওয়া হচ্ছে না৷ চলতি মাসে মোবাইলের রিচার্জ না পেলে কাজ করা সম্ভব নয়৷ তিন বছর ধরে অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমণিদের শাড়ি দেওয়া হচ্ছেনা৷ অতি দ্রুত যাতে তাদের শাড়ির ব্যবস্থা করা হয়৷ না হলে আগামী মাস থেকে আউট ড্রেস পরে সেন্টারে যেতে হবে৷ ফিডিং বিল ও সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে না৷ যেমন চিরা সুজি ইত্যাদি৷ যদি সঠিকভাবে ফিডিং বিল না দেওয়া হয় তাহলে আগামী মাস থেকে ৩৭৭ জন অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমনি ফিডিং বন্ধ করে দেবে৷ জেলা সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা আধিকারিক উত্তম কুমার দাস অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমণিদের দাবিগুলির যৌক্তিকতা স্বীকার করে উনি ঊদল মহলে দাবিগুলো পাঠিয়ে দেবেন বলে দিদিমণিদের আশ্বস্ত করেছেন৷ দুঃখের সহিত অঙ্গনারী দিদি মনিরা আরো জানিয়েছেন আমাদের মধ্যে কেউ পায় ৮ হাজার কেউ পায় ১০০০০ হাজার এই সামান্য টাকা দিয়ে কিভাবে চলে সংসার? ডেপুটেশন দিয়ে বেরিয়ে এসে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে এই প্রশ্ণ রেখেছেন বিশালগড় আইসিডিএস প্রজেক্ট এর অধীন ৩৭৭ জন  দিদিমণি৷ অতি দ্রুত যাতে রাজ্য সরকার এবং সমাজকল্যাণ দপ্তর তাদের এই দাবিগুলো পূরণে যথাযথ উদ্যোগ নেয় এই আবেদন রেখেছেন সরকারের কাছে অঙ্গনওয়াড়ি দিদিমণিরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *