নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ জুলাই৷৷ স্বামী সন্তান থাকার সত্বেও অন্যের স্বামীকে বিয়ে করার অভিযোগে বিশালগড় মহিলা থানা পুলিশের হাতে আটক এক মহিলা৷ ঘটনা রবিবার গভীর রাতে বিশালগড় নবীনগর এলাকায়৷ জানাযায় বিশালগড় নবীনগর এলাকার স্ত্রী সন্তান থাকা সত্ত্বেও সোহেল মিয়া নামে এক ব্যক্তির সংসার ভেঙে চুরমার করে দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে বিয়ে করার অভিযোগে বিশালগড় মহিলা থানা পুলিশের হাতে আটক এক মহিলা৷ জানা যায় সন্তান স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও স্বামীকে জোরপূর্বক ভাবে বিয়ে করার অভিযোগ এনে বিশালগড় মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রবিবার দুপুরবেলায় সোহেল মিয়ার প্রথম পক্ষের স্ত্রী৷ অভিযোগ হাতে নিয়ে বিশালগড় মহিলা থানা পুলিশ অভিযুক্ত সোহেল মিয়ার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন৷ অন্যদিকে সোহেল মিয়ার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর বক্তব্য সোহেল মিয়াকে পূর্বক বিবাহ করেননি৷ উভয়ের সম্মতিক্রমে দ্বিতীয় বিয়ে হয়েছে বলে জানান দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী৷ সোহেল মিয়ার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী স্বামী সন্তান রেখে ডিভোর্স ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করে নেয়৷ বিশালগড় মহিলা থানার ওসি শিউলি দাসের তৎপরতাই দুটি সংসার অতি দ্রুতই ভেঙে যাওয়ার প্রাক মুহূর্তে রক্ষা পায়৷ অন্যদিকে জানা যায় সোহেল মিয়ার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে বাঁচাতে নবীনগর এলাকার শাসকদলের কিছু মাতববররা উঠে পড়ে লেগেছেন কেননা সোহেল মিয়ার কাছ থেকে এ শাসক দলের নামধারী চুনপুটি নেতা অনেক টাকা সুদে দিয়েছিলেন এবং সে টাকা ফিরে পেতে সোহেল মিয়ার দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন৷ বিশালগড় থানা থেকে রবিবার রাতে ছাড়িয়ে নিতে উঠে পড়েন৷ অন্যদিকে শাসকদলের মহিলা মোর্চার নেতৃত্বরা সোহেল মিয়ার প্রথম পক্ষের স্ত্রীসহ সন্তানকে বাঁচাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন৷ কিন্তু নবীনগর এলাকায় দেখা যাচ্ছে মহিলা মোর্চা বনাম শাসক দলের মাতববরদের লড়াই৷ এই হেন পরিস্থিতিতে মহিলা মোর্চার নেতৃত্বরা বাধ্য হয়ে শাসকদলের বর্তমান জনপ্রতিনিধি বিশালগড় নেতৃত্বের শরণাপন্ন হন৷
2023-07-17