কলকাতা, ১২ জুলাই (হি. স.) : পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণনাকেন্দ্রের বাইরে পড়ে ছিল ব্যালট পেপার। তাও আবার ভোটদাতাদের ভোট দেওয়া, প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর করা।
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের গণনাকে কেন্দ্র করে দায়ের হওয়া মামলায় চাঞ্চল্যকর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। জয়ী সমস্ত প্রার্থীর ভাগ্য নির্ভর করবে মামলার ভবিষ্যতের উপর। অর্থাৎ গণনাপর্ব মেটার পরও গোটা ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটল না।
কীভাবে প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষর করা ব্যালট পেপার রাস্তায় পাওয়া গেল, প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বৃহস্পতিবার প্রিসাইডিং অফিসার অর্থাৎ বিডিওকে এজলাসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
হুগলির জঙ্গিপারা ডিএন হাই স্কুল সংলগ্ন রাস্তার ধার থেকে কয়েকশো ব্যালট পেপার পাওয়া গিয়েছে। সবক’টিতেই ভোট পড়েছিল সিপিএমের পক্ষে। প্রিসাইডিং অফিসারের স্বাক্ষরও ছিল সব ক’টি ব্যালট পেপারে। বুধবার সেইসমস্ত ব্যালট পেপার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে জমা করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন, বৃহস্পতিবার বেলা দু’টোয় স্থানীয় বিডিওকে হাজির হতে হবে আদালতে। পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এই প্রথমবার কোনও প্রিসাইডিং অফিসারকে তলব করল আদালত।
বিচারপতি জানিয়েছেন, কী করে ব্যালট পেপার রাস্তায় পাওয়া গেল তা জানাতে হবে। যে স্কুলে এই ভোট হয়েছে সেখানে যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, দিতে হবে তাঁদের নামের তালিকাও। আদালতে আনতে হবে কাউন্টিং সেন্টারের সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিও ফুটেজও। সব মিলিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট করেছে আদালত। কমিশন যাঁদের জয়ী ঘোষণা করেছেন, তাঁদের জয় মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের রায়ের পরেই চূড়ান্ত হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২০ জুলাই।