কলকাতা, ১০ জুলাই (হি.স.): পঞ্চায়েত ভোটের দিন হিংসা, অনিয়ম-সহ নানা কারণে পশ্চিমবঙ্গের ১৯টি জেলার একাধিক বুথে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে পুনর্নির্বাচন। সব মিলিয়ে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে ৬৯৬টি বুথে। রাজ্য নিবার্চন কমিশন জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
কোন জেলার ক’টি বুথে পুনর্নির্বাচনমুর্শিদাবাদের ১৭৫টি বুথ, মালদহের ১০৯টি বুথ, নদিয়ার ৮৯টি বুথ, কোচবিহারের ৫৩টি বুথ, উত্তর ২৪ পরগনার ৪৬টি বুথ, উত্তর দিনাজপুরের ৪২টি বুথ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩৬টি বুথ, পূর্ব মেদিনীপুরের ৩১টি বুথ, হুগলির ২৯টি বুথ, দক্ষিণ দিনাজপুরের ১৮টি বুথ, জলপাইগুড়ি এবং বীরভূমের ১৪টি করে বুথ, পশ্চিম মেদিনীপুরের ১০টি বুথ, হাওড়া এবং বাঁকুড়ার ৮টি করে বুথ, পশ্চিম বর্ধমানের ৬টি বুথ, পুরুলিয়ার ৪টি বুথ, পূর্ব বর্ধমানের ৩টি বুথ এবং আলিপুরদুয়ারের ১টি বুথে সোমবার পুর্নির্বাচন হচ্ছে। ঝাড়গ্রাম, দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে পুর্নির্বাচন হচ্ছে না।বারুইপুরের অশান্ত বুথে মহিলাদের পাহারাবারুইপুর পূর্বের বেগমপুর পুরী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৩ নম্বর বুথে গত শনিবার ভোট চলাকালীন অশান্তি হয়। এই বুথ থেকে ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। পরে পুলিশ পুকুর থেকে তা তোলে। সেই বুথে সোমবার সকাল থেকে নতুন করে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মহিলা ভোটারদের সংখ্যা সেখানে চোখে পড়ার মতো। বুথটিতে শুধু গ্রামসভার ভোট হচ্ছে।পোলিং এজেন্ট নেই, আরামবাগে থমকে গেল পুনর্নির্বাচন
আরামবাগের হিয়াতপুর এলাকার ২৬২ এবং ২৬২কে বুথে নতুন করে নির্বাচন হচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে বুথের সামনে লম্বা লাইন পড়েছে। ভোট দিতে এসেছেন অনেকেই। কিন্তু এখনও ভোট শুরু করা যায়নি ওই দু’টি বুথে। কারণ বুথে কোনও দলের পোলিং এজেন্টরাই এসে পৌঁছননি। কড়া নিরাপত্তায় মুড়েছে এলাকা।