কলকাতা, ২৯ জুন (হি.স.) : পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৯ দিন। তার আগেই ফের কড়া পদক্ষেপ করল দল। জেলায় জেলায় একের পর এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গোঁজ প্রার্থী রুখতেই ব্রিহস্পতিবারপ্রায় ২০০ জনকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল । অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।
প্রার্থী পছন্দ না হতেই পারে। তাই বলে দলের বিরোধিতা করা যাবে না, এই বার্তা একেবারে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় দিয়েছিলেন তৃণমূল। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বারবার জানান হয়েছিল দলের তরফে । মনোনয়ন পেশ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই পদক্ষেম নিতে শুরু করেছে শাসকদল । মুর্শিদাবাদ থেকে মেদিনীপুর, একাধিক জেলায় বহিষ্কার করা হয়েছে বহু নেতাকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ৯ দিন। তার আগেই ফের কড়া পদক্ষেপ করল দল। আজ, বৃহস্পতিবার একদিনে প্রায় ২০০ জনকে সাসপেন্ড করেছে শাসক দল। সূত্রের খবর, বীরভূমে ১৫ জন, হুগলিতে ২৫ জন, হাওড়ায় ১৩ জন, ঝাড়গ্রামে ১৪ জন, মুর্শিদাবাদে ২৫ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩৯ জন ও পূর্ব মেদিনীপুরে ৪৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র তমলুকেই ১১ টি পঞ্চায়েত সমিতির ৪৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা হয়েও নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়ার অভিযোগেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র তমলুকে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সেই তালিকা প্রকাশ করেছেন।
এই প্রসঙ্গে সৌমেন মহাপাত্র বলেন, প্রার্থী না হতে পেরে সাময়িক দুঃখ পাওয়ায় অনেকেই নির্দলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হওয়া সত্ত্বেও কেউ কেউ নির্দল প্রার্থীকে সমর্থনে প্রচার করছেন। রাজ্যস্তরে এ বিষয়ে পর্যালোচনা হওয়ার পর কাদের সাসপেন্ড করা হবে, সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে। তাঁর দাবি, সবার মতামত নিয়েই প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে দল যে সবার ওপরে, এটা মাথায় রেখে যাঁরা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তাঁদের ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তমলুক সংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই দলের অস্তিত্ব বিপন্ন। এটা আইওয়াশ ছাড়া আর কিছু নয়। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে এইভাবে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মানুষ এতে বিশ্বাস করবে না।”