লখনউ, ৩০ জুন (হি. স.) : ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের উপ্র গুলি চালানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার চার জনকে আটক করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। বুধবার উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে তাঁর উপরে হামলা চলে। দুষ্কৃতীরা যে গাড়িতে করে এসে হামলা চালিয়েছিল, সেই গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বুধবার ছোট ভাই ও সঙ্গে কয়েকজনকে নিয়ে সহরানপুরের দেওবন্দে এক সমর্থকের বাড়িতে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন চন্দ্রশেখর। সেই সময় দেওবন্দ থানা এলাকায় আচমকাই একটি গাড়ি দলিত নেতার কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। তার পরই তাঁকে লক্ষ্য করে গাড়ির পিছন দিক থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রের খবর, পর পর চার রাউন্ড গুলি চলে। একটি গুলি তাঁর পিঠে লাগে। তবে আঘাত গুরুতর নয়। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে আজাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁর ডিজিটাল এক্সরে এবং আলট্রাসাউন্ড করানো হয়েছে। শরীরে কোনও গুলি পাওয়া যায়নি। তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। হাসপাতাল থেকেই দলীয় সমর্থক এবং কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন চন্দ্রশেখর। তিনি বলেন, এ রকম আচমকা হামলা হবে ভাবতে পারিনি। তবে আমার শুভানুধ্যায়ী, বন্ধু, সমর্থকদের বলব, তাঁরা যেন শান্তি বজায় রাখেন। আমি ভাল আছি।
২০২০ সালে চন্দ্রশেখর আজাদ সমাজ পার্টি নামে রাজনৈতিক দল তৈরি করেন। উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে দলিত এবং অনগ্রসর মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনের জন্য আজাদের বিশেষ পরিচিতি রয়েছে। তাঁর সামাজিক সংগঠন ভীম আর্মি উত্তরপ্রদেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়। অনুগামীদের কাছে তিনি রাবণ বলেই পরিচিত। যোগীরাজ্যে সিএএ বিরোধী আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা ছিল চন্দ্রশেখরের। দিল্লির শাহিনবাগ আন্দোলনেও তিনি জড়িত ছিলেন। তার জন্য তাঁকে জেল খাটতে হয়। গত বছর উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে গোরক্ষপুর কেন্দ্রে তিনি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে লড়াই করে হেরে যান। তাঁকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলগুলি টানাটানি করে বিধানসভা ভোটে। কিন্তু তাঁর দল একাই লড়াই করবে বলে জানিয়ে দেন রাবণ।-

