পাটনা, ২৩ জুন (হি.স.) : লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের রণকৌশল ঠিক করতে শুক্রবার পাটনায় অনুষ্ঠিত হল বিরোধী দলগুলির বৈঠক । পাটনায় ১৭ বিরোধী দলের বৈঠকে প্রাথমিকভাবে একসঙ্গে লড়াইয়ের সিদ্ধান্তে একমত সকলে। তবে বৈঠকে যোগ দিলেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল বৈঠকের আগেই যেভাবে বেসুরো হয়েছেন, তা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে তাঁদের দলের ভূমিকা নিয়েই। অন্য দল নয়, কেজরি তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের দিকেই। আর তা ঘিরেই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।
কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কে চাপানউতোর থাকলেও নীতীশের ডাকে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালও । তবে সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে আম আদমি পার্টি দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে কংগ্রেসের অবস্থান জানতে চেয়েছে। তখন অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের শান্ত করেন মারাঠা স্ট্রংম্যান শারদ পাওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরে। পাওয়ার বলেন, ২৫ বছর ধরে আমরা যে রাজ্যে পরস্পর বিরোধী রাজনীতি করে চলেছি, সেখানেই মহাবিকাশ আঘাড়ি গড়ে উঠেছে। আমরা সরকারও চালিয়েছি। এখনও জোট টিকিয়ে রেখেছি। উদ্ধবও পাওয়ারের কথায় সায় দিয়ে শান্ত হতে বলেন কেজরিওয়ালকে। যদিও চারঘণ্টা বৈঠকের পর কেজরিওয়াল বেরিয়ে যান।তাই বৈঠকে যোগ দিলেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল বৈঠকের আগেই যেভাবে বেসুরো হয়েছেন, তা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে তাঁদের দলের ভূমিকা নিয়েই। অন্য দল নয়, কেজরি তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের দিকেই। আর তা ঘিরেই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।
আম আদমি পার্টির তরফে একটি টুইট করে বলা হয়েছে, ‘একটি জাতীয় দল হিসেবে কংগ্রেস সমস্ত ইস্যুতে কোনও না কোনও পক্ষ নেয়। এবার ‘কালো’ অর্ডিন্যান্সে’ও তাদের পরিষ্কার করে দিতে হবে তাদের অবস্থান। কংগ্রেসের এই নীরবতা তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।’ কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই যে সিমলা বৈঠকে আপ যোগ দেবে কিনা তা ঠিক হবে ।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের জারি করা অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করে দেশের নানা রাজ্যে সফর করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল । সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, দিল্লিতে আমলাদের পোস্টিং ও বদলি করার সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি সরকারই। তার পালটা অর্ডিন্যান্স জারি করে কেন্দ্র। এই অর্ডিন্যান্স জারির পরেই তীব্র বিরোধিতা করেন কেজরিওয়াল। বাংলা-সহ একাধিক বিরোধী শাসিত রাজ্যে গিয়ে সমর্থন চান। কিন্তু এই প্রসঙ্গে এখনও কিছুই বলেনি কংগ্রেস।
এবিষয়ে বৃহস্পতিবারই হাত শিবিরকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন কেজরিওয়াল। জানিয়ে দেন, যদি কংগ্রেস ‘কালো অর্ডিন্যান্স’ ইস্যুতে সংসদে তাঁদের পাশে থাকার পরামর্শ না দেন তাহলে তাঁরা বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করবেন। তা অবশ্য করেনি আম আদমি পার্টি। কিন্তু বৈঠকে থাকলেও বিরোধীদের সাংবাদিক সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন কেজরিওয়াল। এর ফলে বিরোধী জোট হলেও তাতে কতটা থাকবে আপ তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।