গুয়াহাটি, ২২ জুন (হি.স.) : ডিলিমিটিশনের ফলে অসমের ১২৬-এর মধ্যে ১০২টি আসনে বিপুল সংখ্যক অসমিয়া ভোটার অংশীদার হবেন। অসমিয়া ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এক গর্বের বিষয়। বলেছেন রাজ্য সরকারের প্রবক্তা তথা বহু দফতরের মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জনতা ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত ডিলিমিটেশনের খসড়া প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের নানা অভিযোগের জবাব দিচ্ছিলেন মন্ত্রী পীযূষ। তিনি বলেন, সংসদীয় এবং বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র পুনর্বিন্যাসের ফলে মূল ভারতীয় তথা অসমিয়াদের গর্ব করা উচিত। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মূল ভারতীয়দের প্রাধান্য বজায় রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মূল ভারতীয় তথা অসমিয়া জনগণ অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন, এবার তার অবসান ঘটেছে। মন্ত্রীর দাবি, ভারতের নির্বাচন কমিশন সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে এই অনিশ্চয়তার সমাধান করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাজরিকা বলেন, ডিলিমিটেশন প্রস্তাবে অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এআইইউডিএফ)-প্রধান বদরউদ্দিন আজমলের অসন্তুষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। কেননা, কিছু তত্ত্ব অসমকে গ্রাস করে ফেলতে চেয়েছিল, যা নির্বাচন কমিশনের জারিকৃত টিলিমিটেশন প্রস্তাবে তছনছ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, এর আগে অসমিয়া জনতা চাইলেও রাজ্যে ৪২ থেকে ৪৩টি আসনে কাউকে জেতাতে পারেননি। কিন্তু আজ সীমানা পুনর্নির্ধারণের ফলে পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, অসমিয়া জনগণ তাঁদের পছন্দের প্রার্থীদের ১০২টি আসনে জয়ী করতে সক্ষম হবেন।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তুষ্ট করার রাজনীতি করছেন। বরাকে সমগ্র অসম তথা ভারতের স্বার্থ দেখা উচিত।
একইসঙ্গে তিনি আন্দোলন-খ্যাত বিধায়ক অখিল গগৈকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনি যেন জাতি-উপজাতিদের বিভ্রান্ত করে বিবাদ সৃষ্টি করার চেষ্টা না করেন। অখিল গগৈ এখন অসমের নেতা। অসমের বৃহত্তর স্বার্থে তাঁদের ভাবা উচিত।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার ইশারায় সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে, বিরোধী দলগুলির এই অভিযোগ বেমালুম খণ্ডন করেছেন মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকা। মন্ত্রী বলেন, যা হয়েছে, তা ভারতের নির্বাচন কমিশন করেছে, এখানে রাজ্য সরকার বা মুখ্যমন্ত্রীর কোনও হাত নেই। তবে কারিগরি ত্রুটি যেখানেই থাকুক না-কেন, তা সংশোধনের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করবে বলেও জানান তিনি।