হাফলং (অসম), ২২ জুন (হি.স.) : উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব নিয়ে চেতনকুমার শ্রীবাস্তব লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথের লামডিং থেকে নিউহাফলং অংশ পরিদর্শন করেছেন।
বুধবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ১৫৬০৩ নম্বর ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে ভাররাত ২-টা ৫৫ মিনিটে লামডিং আসেন নবাগত জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তব। এর পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭-টায় এলজি স্পেশাল ট্রেনে নিউহাফলঙের উদ্দেশ্যে লামডিং থেকে রওয়ানা হয়ে সকাল ১০টা নাগাদ নিউহাফলং স্টেশনে এসে উপস্থিত হন।
এদিন লামডিং থেকে নিউহাফলং আসার পথে জিএম পাহাড় লাইনের বিভিন্ন স্পর্শকাতর ধসপ্রবণ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বর্ষার মরশুমে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথ সচল রাখতে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেল যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে, সে সব সরজমিনে খতিয়ে দেখেছেন তিনি।
জিএম চেতনকুমার শ্রীবাস্তব আজ নিউহাফলং স্টেশনে উপস্থিত হয়ে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নিউহাফলং স্টেশনের ধসপ্রবণ এলাকাগুলি পরিদর্শন করে ধস রোধে যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন রেলের উচ্চ আধিকারিকদের। তবে এদিন জিএম রেলযাত্রীদের জন্য হাফলং শহর থেকে নিউহাফলং যাওয়ার বেহাল সংযোগী রাস্তা সংস্কার সম্পর্কে কিছু বলেননি।
সবেমাত্র উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব নিয়েছেন চেতনকুমার শ্রীবাস্তব। তাই লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথ নিয়ে তেমন ধারণা নেই তাঁর। তবে বৃহস্পতিবার জিএম যে শুধু এই রেলপথ পরিদর্শনে এসেছেন তা নয়। মূলত তিনি পরিবার নিয়ে হাফলং এসেছেন প্রমোদ-ভ্রমণে। কারণ নিউ হাফলং স্টেশনে নেমে কিছুক্ষণ সেখানে কাটিয়ে জিএম চলে যান জাটিঙ্গা বার্ড ওয়াচিং সেন্টারে। সেখান থেকে তিনি সোজা চলে যান জাটিঙ্গার কাছে এথেনিক ভিলেজে। গোটা দিন হাফলঙের বিভিন্ন স্থান তিনি ঘুরে দেখেন পরিবার নিয়ে।
রাতে হাফলং শহরে অবস্থিত রেলের অতিথিশালায় উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজারের অতিথেয়তায় নৃত্য সংগীত ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতনকুমার শ্রীবাস্তবের সফর সঙ্গী ছিলেন ডিআরএম প্রেমরঞ্জন কুমার সহ রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। আজ তিনি পুনরায় এলজি স্পেশাল ট্রেনে ফিরে যান লামডিঙের উদ্দেশ্যে।