গত ২৪ ঘণ্টায় বিহারে তাপপ্রবাহে ১২ জনের মৃত্যু

পাটনা, ১৬ জুন (হি. স.) : গত দশদিন ধরে প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে বিহার। তাপমাত্রা ৪৩-৪৪ এর মধ্যে অবস্থান করছে। এদিকে আবহাওয়া দফতর অনেক জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে তাপপ্রবাহে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার ভোজপুরে চার বৃদ্ধ ও দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন স্বজনরা। হিট স্ট্রোকের লক্ষণও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পুলিশ দুজনকে শনাক্ত করেছে। বাকিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। গোয়া ব্লকের খাজুরিতে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হল ৬০ বছরের এক বৃদ্ধের। তিনি ঠিকাদারের কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার খেজুরী উন্নীত উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ দেখতে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাকে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জামুইয়ের ঝাঝা রেলওয়ে স্টেশনে বালিয়া-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করার সময়, ইউপির বালিয়া জেলার বাসিন্দা রেখা শর্মা (৪৬) প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মহিলার সঙ্গে ভ্রমণরত অন্য এক মহিলা ঝাঝা স্টেশনে আরপিএফকে জানান যে মহিলা অসুস্থ ৷ আরপিএফ মহিলাকে ঝাঝা রেফারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ডাক্তার তাকে জামুই সদর হাসপাতালে রেফার করেন, সেখানে মহিলার মৃত্যু হয়।

জামুইতেই হিটস্ট্রোকে মৃত্যু হয় অজিত কুমারের। অজিত মাইনর ইরিগেশন ডিপার্টমেন্টে জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গ্রীষ্মকালে কাজের সূত্রে প্রতিদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং তিনি মারা যান।

সাসারাম জেলা সদরে নিযুক্ত দুই এসএপি জওয়ান হিট স্ট্রোকের কারণে মারা গেছেন। উভয় জওয়ানকে আদালতের গেট নম্বরে পোস্ট করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ করেই এসএপি জওয়ান গৌরী প্রসাদ ও যমুনা যাদবের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাদের সাসারাম সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সন্ধ্যায় দুজনেই মারা যান।

নালন্দা জেলায় ৪৫ বছর বয়সী পাম্পল সিং হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। গ্রামবাসীরা জানান, বাড়ি থেকে পাশের খামারে গিয়েছিলেন পুম্পল সিং। দীর্ঘ সময় বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে। এরপর গ্রামের লোকজন তার মৃত্যুর খবর জানায়। ঘটনাস্থল থেকে তাকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা জানান, লু’র কারণে মৃত্যু হয়েছে।