কলকাতা, ১৪ জুন (হি. স.) : প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির মতো সিবিআইয়ের রিপোর্টেও অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট। বুধবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। সিবিআইয়ের ওই রিপোর্টে খুশি নন বিচারপতি।
এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, রিপোর্টে নতুন কিছু নেই। তদন্তে অগ্রগতি কোথায়? কী তদন্ত করছেন? আর কতদিন ধরে তদন্ত করবেন? কবে শেষ হবে আপনাদের তদন্ত?
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসের এই মামলা বিচারপতি সিনহার হাতে হস্তান্তরিত হয়েছে। তাঁর এজলাসেই এদিন রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই। সেই রিপোর্ট দেখেই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি।
তাঁর চোখা চোখা প্রশ্নবাণের জবাবে সিবিআই জানায়, “অভিষেক-কুন্তলের চিঠি সম্পর্কিত তদন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ হয়েছে। জেলের সিসিটিভি ফুটেজ আদালতের কাছে রয়েছে। সেটা না পেলে তদন্ত শেষ করা সম্ভব নয়।” আরও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে ২ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
পাশাপাশি আদালতে ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৩০০ কোটি দুর্নীতির সন্ধান আমরা পেয়েছি। ইডিকে আদালতের প্রশ্ন, ” আপনাদের আধিকারিকরা তদন্তে দক্ষ তো?” জবাবে ইডি জানায়, ‘নিশ্চয়ই।’ একমাস পরে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট পেশ করবে ইডি।
সকলের মন্তব্য শোনার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, “জেলে কুন্তল ঘোষের উপর নজর রাখবেন জেল সুপার। কুন্তল ঘোষের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করবেন তিনি। আদালত চাইলে সেই ফুটেজ পেশ করতে হবে।”
এর প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের সংযোজন, “কুন্তল ঘোষকে প্রথমে জেলের যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, সেখানে কোন সিসিটিভি ছিল না। পরে যেখানে স্থানান্তর করা হয় সেখানে সিসিটিভি আছে।”

