কলকাতা, ১৩ জুন (হি. স.) : গত আড়াই মাসে রাজ্যের ৯৩ শতাংশ শিশুকেই হামের টিকা দিয়েছে রাজ্য। মঙ্গলবার নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই কথা জানালেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার জন্য সাধুবাদ দেন রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদেরও।
ট্যুইটারে টিকাকরণের বেশ কিছু খুঁটিনাটি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত ৯ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের তরফে এই টিকাকরণ অভিযান করা হয়। মূল লক্ষ্য ছিল, ৯ মাস বয়সি শিশু থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত কিশোর-কিশোরীদের প্রতিষেধকের আওতায় আনা। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, সব মিলিয়ে ২ কোটি ২৩ লক্ষ শিশুকে প্রতিষেধক দেওয়া গিয়েছে যা কিনা মোট লক্ষ্যের ৯৬ শতাংশ।
আরও নির্দিষ্ট করে বললে, রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২২ শতাংশকে ‘মিসলস রুবেল ভ্যাকসিন’ দেওয়া হয়েছে। এতেই শেষ নয়। ট্যুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পরিসংখ্যান দিয়েছেন, তাতে আরও দেখা যাচ্ছে, ৯৩ শতাংশ শিশু হামের টিকা পেয়েছে। তাঁর দাবি, টিকাকরণের গতিতে দেশের অন্যতম সেরা রাজ্য। ১০ দিনে ১ কোটি, ৩০ দিনে ২ কোটি এবং ৪০ দিনে ৯৫ শতাংশ লক্ষ্যপূরণ হয়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউনিসেফ-এর সদর দফতরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে নয়াদিল্লির সম্মেলনে এই উদ্যোগ সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা করা হবে। তবে সব কিছুর নেপথ্যেই যে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীরা, সেটা মনে করাতে ভোলেননি তিনি। কুর্নিশ জানিয়েছেন তাঁদের।
গত বছরের একেবারে শেষ দিকে খবর মেলে, হঠাৎ করে হাম ও রুবেলার প্রকোপ বাড়ছে। পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর হয় কেন্দ্র। রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। হু ও ইউনিসেফের ২০২১-এর তথ্য তুলে ধরে সেখানে জানানো হয়, তখনও পর্যন্ত ভারতে হাম ও রুবেলা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছে ৮৯ শতাংশ শিশু এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৮২ শতাংশ। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা বেড়ে গেছে! এর পরই হাম, জার্মান হাম রোধে রাজ্যজুড়ে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়।