৭ জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের নির্দেশ হাই কোর্টের

কলকাতা, ১৩ জুন (হি. স.) : পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পক্ষেই মত দিল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন ।

বিশেষ করে রাজ্যের যে ৭টি জেলাকে কমিশন স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করেছিল, সেই সব ক’টি জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দিল আদালত। হাই কোর্টের অভিমত, ভয়মুক্ত পরিবেশের জন্য কেন্দ্রীয়বাহিনীর সাহায্য নেওয়া উচিত কমিশনের।

পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়ল না। এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই। বহাল থাকছে কমিশনের ৯ জুনের বিজ্ঞপ্তিই। জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে নিরাপত্তা নিয়ে নির্দেশ দিলেও পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করেনি হাই কোর্ট।

মঙ্গলবার ছিল পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে জনস্বার্থ মামলার রায় ঘোষণা। শুক্রবার এবং সোমবার এই মামলার শুনানি হয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। তার পর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। তার পর আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছিল, শাসক থেকে বিরোধী— সমস্ত পক্ষই।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করে। আদালত তার নির্দেশে জানায়—

* নির্বাচন কমিশনের ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট করানো উচিত। কমিশনের উচিত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা। রাজ্য পুলিশের ঘাটতিও রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের উচিত রাজ্য যা বাহিনী চাইবে তা দেওয়ার। স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা উচিত কমিশনের।

* কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ রাজ্য দেবে না। কেন্দ্রকেই দিতে হবে।

* ৭টি স্পর্শকাতর জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে নির্দেশ।

* ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবহার না করাই ভাল।

গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। ওই দিন থেকেই নির্বাচনী বিধি জারি হয়। মনোনয়নের দিন স্থির হয় ৯-১৫ জুন। কিন্তু তার পরদিনই ভোটের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে নানা আপত্তি তুলে কলকাতা হাই কোর্টে আলাদা আলাদা জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। এর সঙ্গে পরে যোগ হয় আরও কিছু মামলা। শনিবার ছিল প্রথম শুনানি। সোমবার এই মামলার দ্বিতীয় এবং শেষ শুনানি হয়।