কিয়েভ, ৮ জুন (হি.স.) : ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলের একটি জলাধারের বাঁধ ধ্বংসে সৃশ্ট বন্যার জলে অনেক রুশ সেনা ভেসে গেছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন । ক্যাপ্টেন আন্দ্রিই পিডলিসনি নামে এক ইউক্রেনীয় সেনা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা। তিনি বলছেন, বাঁধের জলে ভেসে গিয়েছে রুশ বাহিনীর অনেক সেনা। এতে আহত বা নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
সেনাবাহিনীর এ ক্যাপ্টেন আরও জানিয়েছেন, মঙ্গলবার যখন বাঁধটি ধ্বংস করা হয় তখন ‘রুশ বাহিনীর কেউ পালাতে পারেনি।’ দানিপ্রো নদীর অপরপ্রান্তে থাকা তাদের সকল রেজিমেন্ট পানির নিচে তলিয়ে যায়। ক্যাপ্টেন আন্দ্রিই পিডলিসনি বলেছেন, তাদের পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করতে রাশিয়া ইচ্ছেকৃতভাবে বাঁধটি ধ্বংস করেছে। বাঁধটি খেরসনের নোভা কাখোভকা শহরে অবস্থিত। বর্তমানে রাশিয়ার দখলে রয়েছে কাখোভকা।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর ক্যাপ্টেন আন্দ্রেই পি্লিডসনি দাবি করে বলেন, ড্রোন ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছিল, বাঁধটি ধ্বংস হওয়ার পর দানিপ্রো নদীর এক পাশের জল অপর পাশে অবস্থান নেওয়া রুশ সেনাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেল। সেখানে তাদের কেউ বাঁচতে পারেননি। তাদের সব রেজিমেন্ট জলের নিচে তলিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা ইউক্রেনের সেনারাদের সামনেই বিষয়টি ঘটে।
ইউক্রেন সেনাদের পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করতে রাশিয়া ইচ্ছেকৃতভাবে বাঁধটি ধ্বংস করেছে বলে দাবি ওই ক্যাপ্টেনের।
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে রুশ সেনা নিপ্রো নদীর বাঁ পাশে জলের উচ্চতা বাড়াতে কাখোভগা হাইড্রো পাওয়ার প্ল্যান্ট উড়িয়ে দেয়। তাদের লক্ষ্য ছিল ভবিষ্যতে যেন ইউক্রেনীয় সেনারা পাল্টা আক্রমণ না চালাতে পারে সেটি নিশ্চিত করা। ’
এদিকে রাশিয়া বলছে, পাল্টা হামলার ব্যর্থতা আড়াল করতে ইউক্রেন নাশকতা চালিয়ে বাঁধটি ধ্বংস করেছে।
উল্লেখ্য, নোভা কাখোভকা অঞ্চলের এই বাঁধটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটি কৃষক ও বাসিন্দাদের পাশাপাশি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পানি সরবরাহ করত। এটি রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়ার দক্ষিণে জল সরবরাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যানেলও।
এ বাঁধ ভেঙে গেলে অন্তত ৮০টি শহর ও গ্রাম প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির।