করিমগঞ্জ (অসম), ৮ জুন (হি.স.) : লাগামহীন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, ঔষধের মূল্য বৃদ্ধি, রেশন ব্যবস্থা দূর্বল করা, আধারকার্ডের অজুহাতে মানুষকে খাদ্য সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত করা,জিলার রাস্তাঘাট সংস্কার, ঘন ঘন বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, প্রকল্প কর্মী সহ সমস্ত শ্রমজীবী মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা, নূতন পেনশনের বদলে সবার জন্য পূরানো পেনশন চালু করা, তপশীলি অঞ্চলের রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পাণীয়জলের ব্যবস্থা ইত্যাদি দশ দফা দাবির ভিত্তিতে রাজ্য জুড়ে প্রচার চালাচ্ছে সি পি আই (এম)। মে এবং জুন মাস ব্যাপী সারা রাজ্যে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মানুষের পরামর্শ গ্রহণ করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রাজ্য কমিটি।
কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে দাবিগুলির ভিত্তিতে বৈঠক,পথসভা, জনসভা ইত্যাদি এবং শেষ পর্যায়ে ব্লক, সার্কেল, জিলা পর্যায়ে বিক্ষোভ। করিমগঞ্জ জিলার গ্রাম, শহরে এই দাবিগুলির ভিত্তিতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন সি পি আই (এম) কর্মীরা, মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে দাবি সম্বলিত প্রচারপত্র। একই সঙ্গে চলছে অঞ্চল ভিত্তিক সভার মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে মত বিনিময়। এরপর জিলার ব্লক এবং সার্কেলগুলি অভিযান করবে দলের আঞ্চলিক কমিটিগুলি।
ইতিমধ্যে ২৬শে জুন এই কর্মসূচির দিন ঘোষনা করেছে সি পি আই (এম) করিমগঞ্জ লোকাল কমিটি। লোকাল কমিটি সম্পাদক অরুন দত্ত বলেন রেশনে চালের যোগান কমিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে বেড়েছে চালের দাম, ডাল, তেল, নূন, মশলা সবকিছুর দাম বাড়ছে। আধার কার্ডে এবং বায়োমেট্রিকের দোহাই দিয়ে রেশন কার্ড থেকে মানুষের নাম যথেচ্ছভাবে কাটা হচ্ছে। রাজ্যে বেকার সংখ্যা সর্বকালীন রেকর্ড অতিক্রম করেছে। ইদানিংকালে যে সামান্য নিয়োগ হয়েছে সেখানেও স্থানীয় প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে।জিলায় বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে, বারবার বিদ্যুৎ বিল বাড়ানো হচ্ছে আর প্রতিবাদী মানুষকে গাছের নীচে বসার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আসলে এই সরকার মানুষের আয় বন্ধ করে, জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়, মানুষকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে, চাকুরীজীবির পেনশন কেড়ে নিয়ে, প্রকল্প কর্মীদের ভাতে মেরে গরীব এবং মধ্যবিত্ত মানুষকে গাছের তলায় বসাতে চায়। রাজ্যে এই স্বৈরাচার বন্ধ করতে মানুষকে রাস্তায় নামতে হবে। তিন আরো বলেন স্মার্ট মিটার বসাচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিভিন্ন স্থানে এর বিরুদ্ধে মানুষ আন্দোলন গড়ে তুলছেন। আমাদের জিলায়ও স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। জিলার পরিকাঠামো স্মার্ট মিটার বসানোর উপযুক্ত কিনা তা বিদ্যুৎ বিভাগকে খোলসা করতে হবে এছাড়া যারা স্মার্ট মিটার চান না তাদের জোর করা যায় না। বিদ্যুৎ বিভাগের উচিত দুটি ব্যবস্থা পাশাপাশি রাখা। বিদ্যুৎ সমস্যা নিয়ে শীঘ্রই আন্দোলনে নামবে সি পি আই (এম)। ২৬ শে জুন জিলা উপায়ুক্তের অফিস অভিযান সফল করার জন্য তিনি করিমগঞ্জের সর্বস্তরের গণতান্ত্রিক মানুষের নিকট আহ্বান জানান।

