বালেশ্বর(ওডিশা), ৪ জুন (হি.স.) : ওডিশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে রেল। তদন্তটি দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ের নিরাপত্তা কমিশনারের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সিগন্যাল সমস্যার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রেলের একজন সিনিয়র আধিকারিক জানিয়েছেন, আপ মেইন লাইনে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ট্রেনটি সেই ট্র্যাকে না গিয়ে পাশের লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মাল গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগেছিল, যার কারণে করোমন্ডেল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে বিধ্বস্ত হয়। আরও জানা গেছে যে ডাউন লাইন থেকে স্যার এম বিশ্বেশ্বরায় হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস বালেশ্বরের দিকে যাচ্ছিল। ওই ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এই দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছুঁই-ছুঁই। সেই সংখ্যা ৩০০ পেরিয়েও যেতে পারে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞেরা। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রেল সূত্রে বলা হয়েছে, নিহতের সংখ্যা ২৮৮। আহত ৮০০-র উপর। তবে ধ্বংসস্তূপের তলাতেও চাপা পড়ে থাকতে পারে অনেক দেহ। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। তবে সরকারি ভাবে রেল ‘উদ্ধারকাজ’ শেষ বলে ঘোষণা করেছে। শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে পরিষেবা স্বাভাবিক করার উদ্যোগ। তবে তা যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ বলেই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের আগে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ১০ মে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেসের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১৪৮ জনের। তার অনেক আগে ১৯৯৯ সালের ২ অগস্ট উত্তরবঙ্গের ইসলামপুরের কাছে গাইসালে রেল দুর্ঘটনায় রেলের সরকারি হিসাবে ২৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বালেশ্বরের করমণ্ডল এক্সপ্রেসের এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই তা ছাড়িয়ে গিয়েছে। যদি মৃতের সংখ্যা ৩০০ পেরিয়ে যায়, তা হলে প্রাণহানির নিরিখে এই দুর্ঘটনা পূর্বভারতে সাম্প্রতিককালের মধ্যে সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।