ব্যাঙ্ক মেনেজার বোধিসত্ত্ব হত্যা মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ জুন৷৷  ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বোধীস্বত্ত দাস হত্যাকান্ডের ঘটনায় চার আসামীর যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করল  পশ্চিম জেলার জেলা ও দায়রা আদালত৷ একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়৷ শনিবার রায়দান পর্ব শেষে জানান স্পেশাল পিপি সম্রাট কর ভৌমিক৷ ২০১৯ সালের ৩ ও ৪ আগাস্ট মধ্যরাতে শহরের বুকে ঘটে যায় চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড৷  শহরের জ্যাকসন গেইট এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় রামনগরের বাসিন্দা ধর্মনগরের  ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বোধীস্বত্ত দাস৷ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জিবি হাসপাতালে৷ পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বোধীস্বত্ত দাসের৷ এরপর হত্যাকান্ডের তদন্ত শুরু করে পুলিশ৷ এই খুনের ঘটনায় চার অভিযুক্তের নাম উঠে আসে তারা প্রত্যেকেই শহরের নামিদামি ও প্রভাবশালী ব্যক্তি৷ গ্রেপ্তার করা হয়  কালিকা জুয়েলার্সের কর্ণধারের ছেলে সুমিত চৌধুরী ওরফে বাবাই, কলেজটিলা এলাকার ঠিকেদার সুমিত বণিক ওরফে বাপী, ট্রাফিক পুলিশের প্রাক্তন ইন্সপেক্টর সুকান্ত বিশ্বাস এবং সোয়েব মিঞা ওরফে ওমর শরিফ শরিফ৷  চারজনই শহরের প্রভাবশালী ব্যক্তি৷ শুক্রবার মামলার হত্যাকান্ডের চার বছর পর দীর্ঘ সুনানী শেষে ৫৬ জনের সাক্ষ্যবাক্য গ্রহণের পর  পশ্চিম জেলার জেলা ও দায়রা আদালত চার জনকে দোষী সাব্যস্ত করে৷ শনিবার পশ্চিম জেলার জেলা ও দায়রা আদালত চার আসামীর সাজা ঘোষণা করে৷ এদিন আদালত চার আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে৷ একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের সাজা ঘোষণা করেন বলে জানান মামলা পরিচালনার কাজে নিযুক্ত স্পেশাল পিপি সম্রাট কর ভৌমিক৷ তিনি জানান বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা হলে এই মামলায় আসামীদের ফাঁসি চাওয়া যেত৷ কিন্তু এটা বিরলতম ঘটনা নয়৷ তাই যাবজ্জীবন চাওয়া হয়৷ সরকার কোন ক্ষমা প্রদর্শন না করলে বাকী জীবন তাদের জেলেই কাটাতে হবে৷ হত্যার ঘটনার প্রায় চার বছর পর চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করায় স্বস্তির নিঃশ্বাস বোধিসত্ত্বর পরিবার৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *