পশ্চিম বর্ধমান, ১ জুন (হি. স.) : এক কলেজ ছাত্রীকে মোবাইলে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে বৃহস্পতিবার খান্দরা কলেজ চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ কলেজেরই ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বাউড়ি সমাজের বিক্ষোভের পর অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। তার পরেই অভিযোগ মেনে নিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করে চিঠি লেখেন অভিযুক্ত৷
খান্দরা কলেজের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক পারিজাত রায় ওই কলেজেই অস্থায়ী কর্মী রূপে কাজ করেন। দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ছাত্রীটি জানান, গত ২৬ মে হোয়াটসঅ্যাপে অভিযুক্ত পারিজাত রায় অশ্লীল মন্তব্য করেন ও কুপ্রস্তাব দেন
ওই ছাত্রী বিষয়টি তাঁর পরিবার ও বাউরি সমাজ কল্যাণ সমিতি সংগঠনের লোকজনকে জানালে বুধবার সংগঠনের প্রতিনিধিরা কলেজে গিয়ে অভিযুক্তকে কাজ থেকে বরখাস্ত করার আবেদন জানান কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ না করায় বৃহস্পতিবার ছাত্রীর পরিবার ও সংগঠনের লোকজন কলেজ গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন ছিল পুলিশ ও সিভিক কর্মী।
বিক্ষোভ চলাকালীন সংগঠনের প্রতিনিধিরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার জন্য কলেজে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পরে বিক্ষোভকারীরা বাইরে থেকে কলেজের মূল ফটক বন্ধ করে দেন। ফটক বন্ধ থাকায় কলেজে ঢুকতে না পেরে বাইরে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় শিক্ষক ও বেশ কয়েকজন কলেজ কর্মীকে। এতে কলেজ চত্বরে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। বেশ কিছুক্ষণ পর অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করার জন্য সংগঠনের প্রতিনিধি দল কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে যান।
দীর্ঘ আলোচনার পর অভিযুক্তর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ অধ্যক্ষের হাতে জমা দেন তাঁরা। সাত দিনের মধ্যে অধ্যক্ষ বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান প্রতিনিধি দলের নীলকন্ঠ বাউরি। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্ডাল ব্লক সভাপতি পাপু কুণ্ডু বলেন, পারিজাত রায় কলেজে একসময় জিএস ছিলেন। তবে বছর দুই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে অভিযুক্তের কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন তিনি । সকাল থেকে ম্যারাথন এই আন্দোলনের পরে বিকালের দিকে অভিযুক্ত পারিজাত তাঁর কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে একটি লিখিত আবেদন জানান । ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনও কাজকর্ম করবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি । এরপরেই বাউরি সমাজ আন্দোলন থেকে সরে আসে।