বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

বাসন্তী, ৩০ মে (হি. স. ) : রাতভর বোমাবাজির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তী থানার খেরিয়া গ্রামে। সোমবার রাতের এই ঘটনায় এলাকায় এখনো উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকার যুব তৃণমূল কর্মী সিরাজুল মোল্লার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোজাম্বেল হক সর্দার ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোজাম্বেল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এই ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, বাসন্তীতে যুব তৃণমূল কর্মী সিরাজুল মোল্লার বাড়ি লক্ষ্য করেই মূলত বোমাবাজি করা হয়েছে। এলাকায় যুব তৃণমূল দল করার অপরাধে হামলা চালানো হয়েছে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে। এমনকি পোল্ট্রি ফার্মেও লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিরাজুল ও তাঁর পরিবার। ঘটনার জেরে স্থানীয় মানুষজন যথেষ্ট আতঙ্কিত। তাঁরা বলেন, “ রাতের খাবার খেয়ে সবে ঘুমোতে যাবো, সেই সময় অতর্কিতে একের পর এক বোমা পড়তে থাকে। সিরাজুলের পোল্ট্রি ফার্ম থেকে মুরগিও লুট করে নিয়ে যায় তাঁরা। যুব তৃণমূল দল করার অপরাধেই এই হামলা হয়েছে।” স্থানীয়দের দাবি পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে এলাকায় অশান্তি ততই বাড়বে। মূলত কাঁঠালবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল কাদের হাতে থাকবে তা নিয়েই এই লড়াই চলছে তৃণমূলের দুই সংগঠনের মধ্যে। এলাকার যুব তৃণমূল নেতা আমানুল্লা লস্কর বলেন, “ বারে বারে এই মোজাম্বেল সর্দার এলাকায় অশান্তি বোমাবাজি, মারধোর, লুটপাট করেছে। গতরাতেও এই একই কাজ করেছে। মোজাম্বেল একজন দুষ্কৃতি, এ বিষয়ে পুলিশ ও প্রশাসন এবং দলের সমস্ত স্তরে জানানো হয়েছে।”

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোজাম্বেল। তিনি বলেন, “ আমানুল্লার স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান। এই পঞ্চায়েতে ভুঁড়ি ভুঁড়ি দুর্নীতি। এই দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছি বলেই আমাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বোমাবাজির ঘটনায় আমি জড়িত নই। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করুক।” এলাকায় বোমাবাজির কথা স্বীকার করেছেন এসডিপিও ক্যানিং দিবাকর দাস। তিনি বলেন, “ সোমবার রাতে এলাকায় বোমাবাজির খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।” এ বিষয়ে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মন্ডল বলেন, “ এলাকায় যারা অশান্তি করছে তাঁরা যে দলের লোক হোক না কেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলেছি। তৃণমূলের কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই এখানে, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।