ঢাকা, ২৭ মে (হি. স.) : গণতন্ত্র, মানবাধিকার-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে নতুন করে অস্বস্তি শুরু হয়েছে। এমনই প্রেক্ষাপটে শনিবার ঢাকায় বিদেশ মন্ত্রক পর্যায়ে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ ও চিন।
বাংলাদেশের মন পেতে রোহিঙ্গা-সহ নানা বিষয় নিয়ে অস্ত্রে শান দিচ্ছে চিন। শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন নিয়ে আগেই মায়ানমারের উপর চাপবৃদ্ধি করেছিল বেজিং। এবার প্রকল্পে অর্থ দেওয়া-সহ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এগোচ্ছে চিন। বিশ্লেষকদের মতে, ঢাকার উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রভাব খর্ব করতেই এই নীতি পরিবর্তন চিনের বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বিদেশসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও চিনের বিদেশ মন্ত্রকের উপ মন্ত্রী সুন ওয়েইডং ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘পদ্মা’য় শনিবার এই বৈঠক করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলি বলছে, এ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষ গুরুত্ব পায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চিনের সহযোগিতা। এছাড়া চিনের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশের যোগ দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে বলে খবর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদেশ মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ বছরই বেজিং সফরের আমন্ত্রণ জানাতে চায় চিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে সর্বশেষ চিন সফরে গিয়েছিলেন।