বামপন্থী সরকারের মন্দির দখলের নতুন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’

মুম্বই/কোচি, ২৬ মে (হি.স.) : কেরলের ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড (টিডিবি) ১২৪৮টি মন্দির চত্বরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ শাখা বা এর কার্যক্রম স্থাপন সম্পর্কে পদাধিকারীদের সতর্ক করে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। গত ১৮ মে এই সার্কুলারে বলা হয়েছে যে এমনটি হলে সংশ্লিষ্ট মন্দিরের পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ট্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড রাজ্যের মন্দিরগুলি পরিচালনা করে। বোর্ডের এই সার্কুলার থেকে সিপিএম সরকারের মন্দির দখলের পরিকল্পনার নতুন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ সামনে এসেছে।

টিডিবি-র এই সার্কুলারে এর বছরের পুরনো এজেন্ডা সামনে এসেছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও মন্দির প্রাঙ্গণে সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম চলবে না। এটি উল্লেখযোগ্য যে ২০১৬ সালে কেরলে সিপিএম সরকারের জারি করা এই ধরনের প্রথম সার্কুলারটি কার্যকর হয়নি। এর পরে, রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে কাজ করা টিডিবি ৩০ মার্চ, ২০২১-এ একটি নতুন সার্কুলার-এর মতো আরেকটি সার্কুলার জারি করেছিল। তা সত্ত্বেও কিছু মন্দির চত্বরে সংঘের শাখা চলতে থাকে।
দেবস্বম বোর্ডের আধিকারিকরা বলেন যে শুধুমাত্র সংঘ নয়, অন্য কোনও সংগঠন এবং রাজনৈতিক দলকে মন্দির প্রাঙ্গণে পূজার আচার ব্যতীত অন্য কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে দেওয়া হবে না। এর পরেও মন্দির চত্বরে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষকে বোর্ডের কাছে অভিযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে টিডিবি।

মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সিপিএম নেতা কে. অনন্তগোপন ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ডের সভাপতি। ফলে বোর্ড সিপিএমের ইচ্ছেতেই চলে। টিডিবি বোর্ড ১৯৫০ সালের ত্রাভাঙ্কোর কোচিন হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান আইনের অধীনে গঠিত হয়েছিল। বিখ্যাত সবরীমালা মন্দিরের সমস্ত আচার-অনুষ্ঠানও এই বোর্ডের নির্দেশেই পরিচালিত হয়। এই কারণে মন্দির থেকে আয়ের দিকে নজর রাখছে সিপিএম। সেই কারণেই সংঘের স্বয়ংসেবকদের মন্দির চত্বর থেকে দূরে রাখতে চাইছে বাম সরকার।
কেরল এরিয়া প্রোটেকশন কমিটির সাথে যুক্ত একজন প্রাক্তন পদাধিকারী দাবি করেছেন, বামপন্থী সরকারগুলি মন্দিরের কৃষি জমিগুলিকে বর্জ্য হিসাবে ঘোষণা করে দখল করছে। এই সময়ে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের নেতৃত্বে মন্দিরগুলির সংস্কারের কাজ শুরু হয়। পরে মন্দিরগুলির সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেরালা এরিয়া কনজারভেশন কমিটি গঠন করা হয়। এখন বামপন্থী সরকার মন্দিরের দান ও জমির সুবিধা নিতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *