দুবরাজপুর, ২৪ মে (হি. স.) : দুবরাজপুরে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় নতুন করে আরও এক জন কে গ্রেফতার করল পুলিশ । এই নিয়ে মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে এখনও পলাতক মূল অভিযুক্ত শেখ সফিক। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক দুজনের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃত অপর জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত দেন বিচারক। এদিকে দুবরাজপুরের বিস্ফোরণের রেশ কাটার আগেই কাঁকড়তলা গ্রামে বিপুল পরিমাণ বোমা উদ্ধার হল।
জানা গিয়েছে, ২২ মে দুপুরে পদুমা পঞ্চায়েতের ঘোড়াপাড়া গ্রামের শেখ সফিকের বাড়িতে বিস্ফোরণের ফলে সিঁড়ি ঘরের একাংশ উড়ে যায়। এই তীব্র বিস্ফোরণের ফলে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে পড়েছে কংক্রিটের দেওয়াল। বিকট শব্দে প্রতিবেশী এক শিশুও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল৷ রীতিমতো আতঙ্কিত গ্রামবাসী। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দুবরাজপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও বা পুলিশ আসার আগেই সেখ সফিক এলাকা থেকে চম্পট দেন।
ঘটনার তদন্তে নেমে দুবরাজপুর থানার পুলিশ শেখ সফিকের ভাই শেখ মরিলাল। এবং সফিকের ছেলে শেখ শাহরুখ আলমকে আগেই গ্রেফতার করে। তাঁদের বিরূদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এদিন নতুন করে গ্ৰেপ্তার করা হয় শেখ মরিলাল ছেলে সেখ ইমামউদ্দিন নামে এক যুবককে।
এদিকে দুবরাজপুরের পর এবার কাঁকড়তলা থানার সাহাপুর গ্রামের কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে প্রায় ১০-১২টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে একটি থলি ভরতি বোমা উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল চারিদিক ঘিরে রেখেছে কাঁকরতলা থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে সিআইডির বোম ডিসপোজাল টিম। কী কারণে বোমা মজুত করা হয়েছিল, এই বোমা মজুতের সাথে কারা যুক্ত রয়েছে ইতিমধ্যেই তা তদন্ত শুরু করেছে কাঁকরতলা থানার পুলিশ।

