সালার-কাণ্ডে ধৃত ৩ অ্যাম্বুল্যান্স চালক, কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা, ১৬ মে (হি. স.) : অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের বচসার জেরে মাঝপথেই প্রাণ হারান এক রোগী। মুর্শিদাবাদের সালারের এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ধৃত তিনজনই পেশায় অ্যাম্বুল্যান্স চালক। সালারের ঘটনায় পুলিশকে মারধর করা হয়। উর্দিধারীদের বেদম প্রহারের নেপথ্যে বিরোধীদের উসকানি রয়েছে বলে নবান্নের বৈঠকে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যেকটা মিটিং, মিছিল থেকে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস নেতারা পুলিশকে পেটাতে বলছে। এগুলোর ক্লিপিংস আমাদের কাছে রয়েছে। পুলিশকে পেটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলব। কথায় কথায় পুলিশ পেটানো। পুলিশ কী করবে?”

এই সঙ্গে তাঁর আরও সংযোজন, সালারে তো দু’টো বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেকার ঝামেলা। কে কোন অ্যাম্বুল্যান্সে যাবেন, সেটা তো রোগীর বাড়ির লোকেদের ব্যাপার। শুনেছি ওরা কয়েকজন মিলে একটা চালককে মারছিল। পুলিশ গিয়ে বাঁচিয়েছে। এক্ষেত্রে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

জানা গিয়েছে, ধৃত তিনজনই অ্যাম্বুল্যান্স চালক। নাম আরিফ শেখ, সানি শেখ ও জিয়ারুল শেখ। এফআইআরে নাম ছিল তাদের। চালক তিনজনেরই বাড়ি সালার থানা এলাকার সালার গ্রামে। অন্যান্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, চাঁদতারা বিবি প্রায় দু’বছর ধরে কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। সোমবার রাত এগারোটা নাগাদ ওই বৃদ্ধাকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবারের লোকজন অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করতে আসেন সালারে। কে ওই রোগীকে কলকাতা নিয়ে যাবেন, তাই নিয়ে বচসা তুঙ্গে ওঠে। মৃতের পরিবারের লোকজনদের পছন্দমতো একটি অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে কলকাতায় রওনা দিলে অন্য অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা তাঁদের গাড়ি আটকে দেয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে রাস্তাতে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। অ্যাম্বুল্যান্সে ভাঙচুর করারও অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হলে পরিবারের লোকজন পুলিশের দ্বারস্থ হন।