২ যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুরও ২৪ ঘণ্টা পর বিদ্যুতের তার ঠিক করতে এলেন কর্মীরা

বীরভূম, ১৫ মে (হি. স.) : ২ যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুরও ২৪ ঘণ্টা পর সোমবার সদাইপুর থানা এলাকায় বিদ্যুতের তার ঠিক করতে আসেন কর্মীরা। সূত্রের খবর, পুলিশ পাহাড়া থাকা সত্বেও রীতিমত ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের।

রবিবার সদাইপুর থানার রেঙ্গুন গ্রামে বিদ্যুতের তারে লেগে দুই যুবকের মৃত্যু হয়। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁরা সম্পর্কে দুই ভাই। দুজনেরই বাড়ি উত্তরপ্রদেশের মথুরা জেলায়। ওই দুজন ধান কাটার মেশিন নিয়ে এসেছিলেন। ওই এলাকায় বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে ঘুরে তাঁরা ধান কাটছিলেন। এদিন সেই কাজেই একটি গাড়িতে ধান কাটার মেশিন নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। সেই সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে।

ওই রাস্তার উপরেই ছিল ১১০০০ ভোল্টের তার। কোনওভাবে মেশিনের একটি অংশ ওই তারে লেগে যায়। সেই সময় তার সরাতে গিয়েই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই দুজন ব্যক্তি। সদাইপুরের এক বাসিন্দার দাবি, ‘এখন মাঠে ধান কাটা চলছে। মেশিন আসছিল। মেন রোডের ওপরে তার রয়েছে। তার নীচু হয়ে গিয়েছে, বারবার অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। বিদ্যুৎ দফতরের জন্যই এমন হয়েছে। প্রথমে একজন ঝটকা খায়। ওকে বাঁচাতে গিয়ে আরেকজনও ঝটকা খায়।’

গোটা ঘটনায় প্রশাসনের উপরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, ‘গরিব মানুষ হুক করলে অনেক জরিমানা। জমি বেচে টাকা দিতে হয়েছে। এখনও কেন কিছু হয়নি।’ গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় রাস্তায় উপর নিচু হয়ে ঝুলছিল তার। বারবার বিদ্যুৎ দফতরকে জানালেও কোনও কাজ হয়নি।

দুর্ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। এলাকায় পুলিশ এলে তাদের উপরে ক্ষোভ গিয়ে পড়ে। দেহ উদ্ধার করতে এলে পুলিশকে বাধা দেন গ্রামবাসীরা। বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের আসার জন্য দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, মারমুখী জনতাকে দেখে কার্যত পিছু হঠে পুলিশ। দেহ আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ। তারপরেই সিউড়ি ও সদাইপুর থানা থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মী ওই এলাকায় আসেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে দেহ উদ্ধার করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *