ইসলামাবাদ, ৯ মে (হি. স.) : ইমরান খানের গ্রেফতারিতে জ্বলছে পাকিস্তান । গোটা দেশ ‘শাট ডাউনে’র ডাক ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) -এর। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই ইসলামাবাদ জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। জানা যাচ্ছে, ইমরান সমর্থকরা রাওয়ালপিণ্ডিতে সেনা সদর দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পাশাপাশি লাহোরে সেনা কমান্ডারদের বাসভবনের কম্পাউন্ডেও তাদের ঢুকে পড়ার কথা জানা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ।
ইমরান খানের গ্রেফতারের পর পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষোভ করেছেন। ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর, করাচি, গুজরানওয়ালা, ফয়সালাবাদ, মুলতান, পেশোয়ার ও মারদানসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। করাচিতে বিক্ষোভকারীরা নার্সারির কাছাকাছি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল। তারা পুলিশের গাড়িতে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে, সড়কবাতি ভেঙে ফেলে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস শেল নিক্ষেপ করে।
রাওয়ালপিন্ডির মুরি সড়কেও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ারগ্যাস শেল ছোড়ে। লাহোর, ফাইজাবাদ, বান্নু ও পেশোয়ারের সড়কে সড়কে পিটিআই সমর্থকদের স্লোগান ছিল- ইমরানের মুক্তি চাই, পাকিস্তান বন্ধ করো। ইমরান খানের দলের টুইটার হ্যান্ডল থেকে পাকিস্তানিদের বিক্ষোভে নামার ডাক দেওয়া হয়।
এদিন উত্তেজিত জনতাকে স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছে, ‘কাহা থা ইমরান খান কো না ছেড়না’। অর্থাৎ ‘বলেছিলাম ইমরান খানকে বিরক্ত না করতে’। ইমরান সমর্থকরা সেনা সদর দফতরের বাইরে দাঁড়িয়ে ক্যাম্পাসে পাথর ছুঁড়তে থাকেন। এই প্রথম পাক সেনার সদর দফতর এই ধরনের বিক্ষোভের সাক্ষী হল।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার ইমরান লাহোর থেকে ইসলামাবাদ হাই কোর্টে পৌঁছনোর পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পরিচয় দেওয়ার সময়ই আচমকা সেখানে প্রবেশ করে পাক রেঞ্জার্স। দ্রুত তাঁকে ঘিরে ফেলে গ্রেফতার করে তারা। সেখানে উপস্থিত ইমরানের আইনজীবী ও নিরাপত্তা রক্ষীদের প্রবল মারধর করা হয়। তেমনটাই দাবি পিটিআইয়ের সিনিয়র নেত্রী শিরিন মাজারির। জানা যাচ্ছে, ৭০ বছরের পিটিআই নেতার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে মোট ১২১টি মামলা রুজু হয়েছে। বিশ্বাসঘাতকতা ও ধর্মের অবমাননা থেকে হিংসা ও সন্ত্রাসে উসকানি দেওয়ার মতো নানা অভিযোগে বিদ্ধ ইমরান।