নয়াদিল্লি, ১মে (হি.স.) : বিহারে জেলাশাসক খুনের মামলায় যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ‘বাহুবলী’ প্রাক্তন সাংসদ আনন্দমোহন সিংহের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হওয়া আবেদন গ্রহণ করল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামী ৮ মে শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে। সম্প্রতি বিহার সরকার জেলবিধিতে পরিবর্তন ঘটনোয় মুক্তি পেয়েছেন ২৬ জন বন্দি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইএএস অফিসার তথা গোপালগঞ্জের তৎকালীন জেলাশাসক জি কৃষ্ণাইয়াকে খুনের অপরাধী প্রাক্তন সাংসদ আনন্দমোহন।
১৯৯৪ সালে আমলা জি কৃষ্ণাইয়াকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন আনন্দ। বিহারের জেলবিধিতে আগে কর্তব্যরত সরকারি কর্মী খুনে দোষীদের জেল থেকে মুক্তি নিষিদ্ধ ছিল। সেই নীতিই বদলেছে নীতীশের নেতৃত্বাধীন ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকার। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মী খুনের অপরাধী যদি ১৪ বছর জেল খেটে ফেলেন তা হলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে।
আনন্দমোহনের মুক্তির বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নিহত আইএএস অফিসারে কৃষ্ণাইয়ার স্ত্রী উমা। তাঁর দাবি, ১৪ বছর জেল খাটলেও সাজা পূরণ হয়নি প্রাক্তন সাংসদের। সুপ্রিম কোর্টের একটি পুরনো রায়ের উল্লেখ করে তাঁর যুক্তি, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প হিসাবে। তাই দণ্ডিতকে আজীবন কারাবাস করতে হবে। কোনও অবস্থাতেই সাজা মকুব করা চলবে না।