নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ এপ্রিল৷৷ বুধবার সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক বিজু কৃষ্ণান এক সাংবাদিক সম্মেলনে মিলিত হন৷ এই সাংবাদিক সম্মেলনে নির্বাচনোত্তর বিভিন্ন সন্ত্রাসের চিত্র তুলে ধরেন৷ পাশাপাশি গতকাল অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া কৃষক সভার রাজ্য কমিটির বৈঠকে গৃহীত বিভিন্ন দাবি সমূহ রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে সাংবাদিক সম্মেলনে তুলে ধরেন৷ দাবিগুলি হল , দুষৃকতিকারীদের দ্বারা যে সকল কৃষকদের ফসল, রাবার, গরু সহ অন্যন্য ক্ষতি হয়েছে, সরকারকে তার ক্ষতিপুরনের জন্য সাহায্য দিতে হবে৷ সারা রাজ্যে বলপূর্বক বেয়াইনীভাবে কৃষি-জমি ও পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে৷ ফলে খাদ্য ও মাছের সংকট দেখা দিচ্ছে ,তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে৷
সরকারি ভাবে সার ও কীটনাশকের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে হবে৷ এস আর আই পদ্ধতিতে ধান চাষ পুনরায় চালু করতে হবে৷ জলসেচের সমস্ত আধারগুলিকে সচল ও চালু করতে হবে৷গাভি প্রজননের প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করতে হবে এবং এর জন্য নির্দিষ্ট কর্মীদের কাজে ব্যবহার করতে হবে৷
নাগিছড়া কৃষি খামারকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে৷ আই সি আর কে এবং ৮টি বিজ্ঞান কেন্দ্রকে সক্রিয় ভাবে গড়ে তুলতে হবে৷ ধান রোপন, ধান ক্ষেত বাছাই, ধান কাটা সহ কৃষির সমস্ত কাজে রেগা ও টুয়েপ চালু করতে হবে৷ রেগা ও টুয়েপে ১০০ দিনের কাজ সকলকে নিয়ে করতে হবে৷ কৃষি দপ্তর ও উদ্যান দপ্তরে প্রয়োজনীয় আধিকারিক ও কর্মী নিয়োগ করতে হবে৷ ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা পরিষদের ১২৫ তম সংশোধনী বিলটি অবিলম্বে সংসদে পাস করতে হবে৷ ককবরক ভাষাকে সংবিধানে ৮তম তপশিলে অর্নভুক্ত করতে হবে৷ বন্য পশু হাতি ও বানরের উৎপাত থেকে কৃষকদের ফসল ও জুমের ফসল রক্ষা করতে বন দপ্তরকে উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে এবং সমস্ত জুমিয়া কৃষককে এককালীন সাহায্য করতে হবে৷ ইঁদুরের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে৷ এবছর সেচের অভাবে প্রচুর জমি চাষ করা যায়নি, ক্ষতিগ্রস্ত সকল কৃষক পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরন দিতে হবে৷ খরা, বন্যা ও প্রাকৃতিক দুযর্োগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারী ভাবে সাহায্য করতে হবে৷ধান ক্রয়-কেন্দ্র উপজাতি এলাকা সহ বাড়াতে হবে, ফসল উঠার সাথে ক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে৷ জুম চাষীদের বীনামূল্যে বীজ, সার ও কীটনাশক দিতে হবে৷ পাট্টা প্রাপক কৃষকদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা চলবে না৷ বিভিন্ন সরকারী প্রকল্প দিয়ে চাষ করার জন্য সাহায্য করতে হবে৷
সর্বভারতীয় কিষাণ সভা ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে সাতজন কৃষককে হত্যা করা হয়েছে৷ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন ১৪২৭ জন৷ ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে ৮৮টি৷ঘর আংশিক পুড়ে গেছে -৮৬টি৷বাড়ি ভাংচুর হয়েছে ১৬টি৷ ১০৮টি বাড়িতে হামলা সংগঠিত হয়েছে৷ লুটপাট হয়েছে ১৫টি৷ বাড়িঘর লুট – ৫৫টি৷ দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে – ৯৭টি৷দোকান ভাংচুর – ৩৮০টি৷
দোকান লুট -৪১টি৷ ২১৬টি রাবার বাগানে অগ্ণি সংযোগ করা হয়েছে৷ ৩১টি পুকুরে বিষক্রিয়া সংগঠিত হয়েছে৷ সবজি ও অন্যান্য ফসলের ঘটনা৬০৬টি৷ গাড়ি ভাঙচুর – ১১টি৷অটো স্ম্যাশড -৩টি৷ ২১টি৷ গাড়িতে আগুন লাগানো – হয়েছে৷ ৭৫টি অটো সম্পূর্ণভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বাইক ভাঙা হয়েছে ১০৪ টি৷ -বাইক পোড়ানো হয়েছে ছয়টি৷ বাইক ছিনতাই হয়েছে তিনটি৷
2023-04-26

