গুয়াহাটি, ২৫ এপ্রিল (হি.স.) : ভারতের ইতিহাসকে শুদ্ধ, যথার্থ তথ্যের ভিত্তিতে নবপ্ৰজন্মের কাছে উপস্থাপনের প্ৰভাবী উপায় এবং সংগঠনের আগামী কাৰ্যপ্ৰণালী ইত্যাদি বিষয়ে অবগত করতে ভারতীয় ইতিহাস সংকলন সমিতি, অসমের উদ্যোগে সংগঠনের কাৰ্যকৰ্তাদের জন্য পরিচালিত ত্রিদিবসীয় কৰ্মশালার সমাপ্তি হয়েছে।
গুয়াহাটির মালিগাঁওয়ে অবস্থিত আদিংগিরিতে গত ২১ এপ্ৰিল থেকে এই কৰ্মশালা শুরু হয়েছিল। কর্মশালায় অসমের বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক কাৰ্যকৰ্তা অংশগ্রহণ করেছিলেন। এতে অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনার রাষ্ট্ৰীয় মহাসচিব হেমন্ত ধিং মজুমদারের পৌরোহিত্যে কর্মশালাটি ছয়টি সত্ৰে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্ৰথম উদ্ঘাটন সত্ৰে আৰ্য আক্ৰমণ তত্ত্ব যে ভুল, সে সম্পৰ্কে ড. নিলাঞ্জন দে তাঁর বক্তব্যে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। দ্বিতীয় সত্ৰে রাষ্ট্ৰীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সহ-ক্ষেত্ৰ প্ৰচারক বশিষ্ঠ বুজরবরুয়া ‘হিন্দুত্বই রাষ্ট্ৰীয়ত্ব’ বিষয়ে আলোকপাত করেন।
তৃতীয় সত্ৰে ‘ভারতীয় কাল গণনা’-র ওপর আলোচনা করেন রাষ্ট্ৰীয় স্বয়ংসেবক সংঘের উত্তর-অসম প্ৰান্ত বৌদ্ধিকপ্ৰমুখ তীৰ্থঙ্কর দাস কলিতা। চতুৰ্থ সত্ৰে রাষ্ট্ৰীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্ৰান্ত প্ৰচার নৃপেন বৰ্মণ আদৰ্শ কাৰ্যকৰ্তার জন্য যোজনার আবশ্যকতা নিয়ে বক্তব্য পেশ করেছেন।
পঞ্চম সত্ৰে ভারতীয় ইতিহাস সংকলন সমিতি প্ৰান্ত প্ৰচারপ্ৰমুখ নিপন শইকিয়াই ‘আইটি এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কার্যকর ব্যবহার’ বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন। ষষ্ঠ সত্ৰে ভারতীয় ইতিহাস সংকলন সমিতির উপসভাপতি ড. নিরঞ্জন কলিতা বাৰ্ষিক যোজনা সম্পর্কে নানা তথ্য তুলে ধরেছেন। এছাড়া যুব ইতিহাসবিদ-প্ৰমুখ ড. রক্তিম পাটর ইতিহাসের মূলভূত সিদ্ধান্তের বিষয়ে তথ্য সংবলিত বক্তব্য পেশ করেছেন।

