নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ এপ্রিল৷৷ গড়িয়া বাবা কৃষ্টি, সংসৃকতি এবং ঐতিহ্যের প্রতীক৷ সমাজের প্রত্যেকের মঙ্গল কামনা এবং সমৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর এই গড়িয়া পূজার আয়োজন করা হয়৷ এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সাথে শহরের বেশ কিছু স্থানে গড়িয়া পূজার আয়োজন করা হচ্ছে৷ শুক্রবার রাজধানীর আগরতলা শহরের বিভিন্ন ক্লাব ও সংস্থার উদ্যোগে গড়িয়া পূজার আয়োজন করা হয়৷ কসমোপলিটন ও নাইন নাইন বুলেট ক্লাব হচ্ছে গড়িয়া পূজা৷ একই সঙ্গে অভয়নগর ব্রীজ সংলগ্ণ নেতাজী ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় গড়িয়া পুজা৷ জনজাতিদের চিরাচরিত উৎসব এখন জাতি উপাজতির মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে৷ গড়িয়া পুজাকে কেন্দ্র করে বসে মেলা৷ সকাল থেকেই বহু মানুষ ভক্তি ভরে পুজা দেন৷ জাতি জনজাতি অংশের মানুষ গড়িয়া পুজায় সামিল হন৷ জন জাতি অংশের মানুষের প্রাচীন উৎসব হচ্ছে গড়িয়া পুজা৷ এই পুজায় আত্মীয় স্বজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়৷ সকলের সুস্থতা কামনা করে গড়িয়া পূজার আয়োজন বলে জানান বিশুরাই দেববর্মা৷
গড়িয়া পূজা উপলক্ষে নাইন বুলেট ক্লাবের উদ্যোগে শুক্রবার কচিকাঁচাদের নিয়ে অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় তিনটি বিভাগে৷ নাইন বুলেট ক্লাবে আয়োজিত এইদিনের অঙ্কন প্রতিযোগিতায় মোট ৮০ জন খুদে প্রতিযোগী প্রতিযোগিনী অংশ গ্রহণ করে৷ এইদিনের অঙ্কন প্রতিযোগিতায় উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের কাউন্সিলার তথা নাইন বুলেট ক্লাবের সভানেত্রি ভাস্বতী দেববর্মা৷ তিনি জানান দীর্ঘ বছর ধরে নেইন বুলেট ক্লাব গড়িয়া পুজার আয়োজন করে আসছে৷ গড়িয়া পুজা উপলক্ষ্যে প্রতি বছর নানান কর্মসূচি পালন করা হয়৷ তাই এই বছরও গড়িয়া পুজা উপলক্ষ্যে এইদিন অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে৷
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সাথে শহরের বেশ কিছু স্থানে গড়িয়া পূজার আয়োজন করা হচ্ছে৷ শুক্রবার রাজধানীর অভয়নগর ব্রীজ সংলগ্ণ নেতাজী ক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে গড়িয়া পুজা৷ এই বছর তাদের পুজো ৩১ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে৷ জনজাতিদের চিরাচরিত উৎসব এখন জাতি উপাজতির মিলন উৎসবে পরিণত হয়েছে৷ গড়িয়া পুজাকে কেন্দ্র করে বসে মেলা৷ শুক্রবার সকালে এই পূজার উদ্বোধন করেন মেয়র দীপক মজুমদার৷ ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী পাপিয়া দত্ত, কপর্োরেটার প্রদীপ চন্দ , গড়িয়া পুজা কমিটির সভাপতি অপু চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা৷ হিন্দু জনজাতিদের একটি প্রাচীনতম পুজা হচ্ছে গড়িয়া পুজা৷ ১৯ টি জনজাতি অংশের মানুষ এই ধরনের পুজা করেন৷ রাজ্য ও পরিবার পরিজনদের সার্বিক মঙ্গলার্থে এই পূজার আয়োজন করা হয়৷ এই পুজো এখন সার্বজনীন৷ আগে একটা অঞ্চলের মধ্যে এই পুজা সিমিত ছিল৷ এখন শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র গড়িয়া পুজা সারম্ভরে করা হচ্ছে বলে জানান মেয়র দীপক মজুমদার৷
2023-04-21

