গত ১২ ঘণ্টায় গুয়াহাটিতেদু-দুটি খুন, বেলতলায় গৃহস্থের বাড়ির গেটে উদ্ধার ত্রিপুরার জনৈক বাসিন্দার ঝুলন্ত দেহ

গুয়াহাটি, ১৬ এপ্রিল (হি.স.) : গুয়াহাটি মহানগরে গত ১২ ঘণ্টায় দু-দুটি খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দুটি ঘটনার তদন্তে নেমে সিটি পুলিশের কালোঘাম ছুটছে। এর মধ্যে বেলতলা এলাকার সৌরভনগরে জনৈক গৃহস্থের ২৫ নম্বর বাড়ির গেটে একটি ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যের মাত্রা দ্বিগুণ হয়েছে। ঝুলন্ত মৃতদেহটি ত্রিপুরার বাসিন্দা জনৈক সুবল দেববর্মার বলে প্রথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। স্থানীয়দের ধারণা, সুবল দেববর্মাকে খুন করে ওই বাড়ির গেটে ঝুলিয়ে রেখেছে খুনিরা।

আজ রবিবার ভোরে সৌরভনগরের কতিপয় বাসিন্দা বাড়ির গেটে একটি প্রাণহীন ব্যক্তির লাশ ঝুলছে দেখে আঁতকে ওঠেন। তাঁরা বাড়ির কর্তা কেশব কলিতাকে ডেকে ঘটনাটি জানিয়ে খবর দেন বশিষ্ঠ থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুবল দেববর্মার মৃতদেহ গেটে ঝুলছে দেখে খবর দেন প্রশাসনিক ম্যাজিস্ট্রেটকে। খবর পেয় ম্যাজিস্ট্রেট আসলে তাঁর উপস্থিতিতে মৃতদেহটি উদ্ধার করে গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়।

এদিকে বশিষ্ঠ এলাকার এসিপির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। বেশ কয়েকটি প্রশ্নের তালিকা তৈরি করে পুলিশের দল তদন্ত চালিয়েছে। এসিপি জানান, সুবল দেববর্মাকে খুন করা হয়েছে, নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, এ সব প্রশ্নও রয়েছে তদন্ত-তালিকায়। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর সে অনুযায়ী এগোবেন তাঁরা।

অবশ্য তাঁদের তদন্তে সহায়তা করতে পারে এমন কোনও তথ্য দিতে জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এসিপি। তিনি আশা ব্যক্ত করে জানান, ঘটনার পেছনে রহস্য শীঘ্রই ভেদ করতে পারবেন তাঁরা। সুবল দেববর্মা যদি খুনও হয়ে থাকেন, তা-হলে খুনিকে শীঘ্ৰই গ্ৰেফতার করা হবে। এদিকে নিহত দেববর্মার বাড়িতে ঘটনার খবর দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে গতকাল পয়লা বৈশাখের দিন মালিগাঁওয়ে রেলওয়ে স্টেডিয়ামের কাছে বিহুতলিতে পৃথক দুই প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। জনৈক রোহিত কুমার গামি এবং শ্রীমন্ত তালুকদারকে ছুরিকাঘাত করেছিল দুর্বৃত্তরা। ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয়েছে রোহিত কুমার গামি নামের যুবকটির। অন্যদিকে গুরুতর আঘাতপ্ৰাপ্ত সীমান্ত তালুকদার নামের আরেক যুবক গৌহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।