হাড়োয়া, ১৬ এপ্রিল (হি.স.) : বাম শিবিরে বড়সড় ভাঙন ধরাল শাসক দল। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার শাসন থানার কীর্তিপুরে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন প্রায় ৭০০ জন সিপিএম নেতা, কর্মী-সমর্থকরা।হাড়োয়া বিধানসভার বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম ও বারাসাত দু নম্বর ব্লকের ব্লক সভাপতি শম্ভু ঘোষের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয় স্থানীয় সিপিএম নেতা মহম্মদ ইসরাইল সহ একাধিক নেতা কর্মীদের। এদিন, সিপিএমের পাশাপাশি একাধিক আইএসএফ কর্মীরাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানানো হয়।
যোগদান প্রসঙ্গে হাড়োয়ার বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘খড়িবাড়িতে দীর্ঘদিন আমাদের সঙ্গে ছিলেন ইজরাইল। বিভিন্ন দলে ঘুরে এসে তিনি বুঝতে পেরেছেন, তার জন্য তৃণমূলই বেস্ট। তাই এদিন তাঁকে পুনরায় দলে যোগদান করানো হল এবং তার নেতৃত্বে অনেকেই এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। আগামী পঞ্চায়েতে খড়িবাড়ি বিরোধী-শূণ্য হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।’ যোগদানকারী মহম্মদ ইজরাইল জানান, দিদির উন্নয়নের ধারা দেখেই তৃণমূলে যোগদান। তিনি বলেন, ‘বামফ্রন্ট করতাম। আজ বামফ্রন্ট ও আইএসএফের অনেক কর্মীও আমার সঙ্গে আজ এখানে যোগদান করলেন।’ তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র বাংলার উন্নয়ন হতে দিতে চায় না বলেই টাকা আটকে রেখেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারাবার একশো দিনের টাকা দাবি করলেও সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। দিদির লড়াইয়ে সাথ দেওয়ার জন্যই এই যোগদান বলে তিনি জানান।
তবে, সিপিএম কর্মীদের তৃণমূলে যোগদানের বিষয়টি অস্বীকার করেছে স্থানীয় বাম নেতৃত্ব।,বারাসত সিপিআইএম দক্ষিণ এক এরিয়া কমিটির সদস্য কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নিজেদের লোককে জড়ো করেই বলছে সিপিএম থেকে এত লোক এসেছে।’তাঁর অভিযোগ, গত ১১ সাল থেকে ওখানে কোনও বুথে ভোট করতে পারেন না।’ তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, সন্ত্রাস করে ভোট লুট করে ওরা জিতছে। সিপিএম ২০১১ সাল থেকে ওখানে এজেন্ট দিতে পারছে না।’ তাঁর কথায়, ‘৭০০ কর্মী থাকলে তো আমরা এজেন্ট দিতে পারতাম।’ অন্যদিকে, সিপিআইএম নেতৃত্বের দাবী, শাসনের ওই কীর্তিপুর এলাকাতে ৭০০ সিপিএম কর্মী নেই। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ, দুর্নীতিগ্রস্ত নেতারা মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য, সন্ত্রাস করানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করালেন এবং প্রচার পাওয়ারও একটা উদ্দেশ্য তৃণমূল নেতাদের রয়েছে বলে দাবী করেন সিপিএম নেতা।