তেজপুর (অসম), ৮ এপ্রিল (হি.স.) : অসমের তেজপুরে শালিনিবাড়ি ভারতীয় বায়ুসেনার ঘাঁটি থেকে সুখই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানে জলপাই রঙের পোশাক পরে আকাশমার্গে উড়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
আজ শনিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর তৃতীয় তথা শেষদিনের সফরকালে তেজপুর এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে সকাল ১১:০৭ মিনিটে অত্যাধুনিক সুখই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানে চড়েন। এর আগে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করেন তাঁর সফরসঙ্গী চিকিৎসকরা।
যুদ্ধ বিমানের ককপিটে তিন সেনা বাহিনীর প্রধান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে ১০৬ স্কোয়াড্রনের কমান্ডিং অফিসার গ্রুপ ক্যাপ্টেন নবীন কুমার বিমান উড়িয়েছিলেন। বিমানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার উচ্চতায় এবং ঘণ্টায় প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বেগে উড়েছিল। আকাশমাৰ্গ থেকে হিমালয় ও ব্রহ্মপুত্র এবং তেজপুর উপত্যকার মনোরম দৃশ্য উপভোগ করেছে যুদ্ধবিমান। প্রায় ২৫ মিনিট পর ১১.৩৮ মিনিটে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে রানওয়েতে অবতরণ করে সুখই-৩০ এমকেআই।
আজ সকালে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে তেজপুর বায়ু সেনা ঘাঁটিতে পৌঁছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এসেছেন অসমের রাজ্যপাল গুলাবচাঁদ কাটারিয়া, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা, পরিষদীয় মন্ত্রী পীযূষ হাজরিকাও। এখানে প্রথমে তাঁকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়।
এর পর তাঁকে বায়ুসেনার পোশাকে সজ্জিত করে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় হ্যালমেট। সুখই-এর ককপিটে ওঠার আগে ফাইটার পাইলটদের সঙ্গে গ্রুপ ছবিও তুলেন রাষ্ট্রপতি। ককপিটে বসিয়ে পুরুষ ও মহিলা বায়ুসেনা আধিকারিকরা তাঁকে উড়ানের সময় গৃহীত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাদি শিখিয়ে দিয়েছেন। মহিলা ফাইটার তাঁর হাতে গ্লাভস ও সিটবেল্ট পরিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দ্ৰৌপদী মুৰ্মুর আগে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের ককপিটে বসেছিলেন তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা দেবীসিং পাটিল, ড. এপিজে আব্দুল কালাম এবং রামনাথ কোবিন্দ।
গত ৬ এপ্ৰিল তিন দিনের সফরসূচি নিয়ে অসমে এসেছিলেন রাষ্ট্ৰপতি দ্ৰৌপদী মুৰ্মু। কাজিরঙায় অনুষ্ঠিত গজ উৎসব, কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতারোহণ দলের হাতে ব্যাটন প্রদান, গৌহাটি হাইকোর্টের প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদযাপনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

