কলকাতা, ৭ এপ্রিল (হি. স.) : “আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। আগে আমাদের এক জায়গায় বাড়ি ছিল। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা শান্তিতে থাকবে ভাববেন না।”
শুক্রবার রাজু ঝায়ের দুর্গাপুরের বাড়িতে গিয়ে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সাংসদ অর্জুন সিং। ‘লতিফকেও সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে’ বলে মন্তব্য করেন সাংসদ। তাঁর উপস্থিতিতে ২০২০ সালে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন রাজু। এর পর অর্জুনবাবু তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন তিনি স্পষ্ট জানান, বিজেপি-র হয়ে কাজ করছিলেন না রাজু।
একই সঙ্গে গোটা ঘটনাটি কোনও ‘ছোট মাথার কাজ নয়’, এমনটাই দাবি এই সাংসদের। অর্জুনবাবু বলেন, “আমি ২০০ শতাংশ নিশ্চিত চক্রান্ত করে ওঁকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু, যতটুকু আমি বুঝি যদি লতিফকে যদি দ্রুত গ্রেফতার করা না হয় সেক্ষেত্রে ওঁকেও সরিয়ে দেওয়া হবে। যোগাযোগ কেটে দেওয়ার একটা চেষ্টা করা হবে। এটা কোনও ছোট মাথার কাজ নয়। এর নেপথ্যে বড় কোনও মাথা রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “পুলিশের উপর ভরসা রয়েছে।আমার মনে হয় এই খুনের ঘটনায় লতিফ একটি লিংক।” একইসঙ্গে অর্জুনের হুংকার, “যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাঁরা যদি ভাবেন পার পেয়ে যাবেন তাহলে ভুল ভাবছেন।” রাজু ঝা খুনের তদন্তের জন্য তৈরি বিশেষ তদন্ত দলের উপর ভরসা দেখিয়েছেন তিনি।
তাঁর উপস্থিতিতেই যে রাজুর বিজেপি-তে যোগদান তা স্বীকার করে অর্জুন সিং বলেন, “ও ওই দলটা করেনি।” তবে রাজুর সঙ্গে ব্যবসায়িক কোনও যোগাযোগ ছিল না বলেই দাবি এই সাংসদের। তিনি বলেন, “আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। আগে আমাদের এক জায়গায় বাড়ি ছিল। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা শান্তিতে থাকবে ভাববেন না।”
উল্লেখ্য, বাম জামানাতে রাজুর উত্থান অনেকেরই নজর কেড়েছিল। একাধিক সময় বেআইনি কয়লা কারবারের সঙ্গে নাম জুড়েছিল রাজুর। ২০২০ সালে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তাঁর বিজেপি-তে যোগদান নিয়ে দলেরই একাংশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল।