শীতলকুচি, ৭ এপ্রিল (হি. স.) : হাসপাতালের বেডে শুয়ে খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত যুবক বিভূতি রায়। তার বক্তব্য, ‘চার বছর প্রেম করে ধোকা দিয়ে চলে গেল। তাই মেরে দিলাম।’
প্রসঙ্গত, প্রেমের সম্পর্কে বাবা মা মেনে নিতে না পারায় প্রেমিকার বাবা-মাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে মেয়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। জখম হয় প্রেমিকা ও তার দিদিও। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় দিদিরও। শীতলকুচির হসপিটাল পাড়া এলাকার এই ঘটনা নাড়িয়ে দেয় রাজ্যকে। মৃত নিলীমা বর্মন শীতলকুচি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। তাঁর স্বামী বিমল চন্দ্র বর্মন তৃণমূলের এসসিএসটি ওবিসি সেলের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি। এদিন ভোরে এই ঘটনার পরই এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই দম্পতির মেয়ে ইতি বর্মন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল পাশের গ্রামের যুবক বিভূতি রায়ের সঙ্গে। যা মেনে নিতে তীব্র আপত্তি ছিল তার বাবা-মা দুজনেরই। আর এনিয়ে পরিবারে অশান্তিও হয়। অভিযোগ, তার জেরেই অভিযুক্ত যুবক প্রেমিকার বাড়িতে এসে ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। একাধিকবার নৃশংশভাবে কোপানো হয়েছে বিমল বর্মন ও তাঁর স্ত্রী নিলীমাদেবীকে। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে দুই মেয়ে ইতি ও রুনা। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় রুনার। স্থানীয় বাসিন্দারাই অভিযুক্ত যুবককে ধরে ফেলে। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ আরও দুই জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার পরই এলাকায় যান মাথাভাঙ্গার এসডিপিও অমিত ভার্মা। তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। বিমল বর্মন ও নিলীমাদেবী সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকায় প্রথমে এই ঘটনার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র থাকার সন্দেহ করেন অনেকে। তবে প্রাথমিক তদন্তে তেমন কিছুই মেলেনি। আপাতত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।