কলকাতা, ৭ এপ্রিল (হি. স.) : আবারও বিপাকে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এবার আলোচনায় তাঁর জিম। মোটা টাকা নিয়ে পরিষেবা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। দোষ স্বীকার করে তাকা ফেরৎ বা পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
মধ্যমগ্রামের এক মলে ‘দ্য ফিটনেস এম্পায়ার’ নামক একটি জিম খুলেছিলেন বছর দুই আগে। সেই জিম নিয়েই ঝামেলা গড়িয়েছে থানা পর্যন্ত। অভিযোগ, জিম প্রশিক্ষণের নামে টাকা তুলে জিম বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। যার ফলে বেজায় বিপাকে জিম-শিক্ষার্থীরা। হাজার হাজার টাকা দিয়ে ওই জিমে ভর্তি হলেও এখন নাকি সেই জিমে ঝুলছে তালা।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে ওই মাল্টিজিমের তরফে একটি বিজ্ঞাপন বের করা হয়। দেওয়া হয় আকর্ষণীয় অফার। বলা হয়, বছরে ১৮ হাজার টাকার জায়গায় যদি একবারে সাড়ে সাত হাজার টাকা দেওয়া হয় তবেই জিমে ভর্তি নেওয়া হবে। এই লোভনীয় অফার পেয়ে অনেকেই ভর্তি হন। কিন্তু অভিযোগকারীদের দাবি, ভর্তি হওয়ার পরেই নাকি তাঁদের বলা হয়, চার হাজার টাকার বিনিময়ে ব্যক্তিগত ট্রেনার রাখতে হবে। এরই পাশাপাশি হঠাৎ করেই দোল-হোলির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় জিম যা এখনও তালাবন্ধ।
এরপরেই মধ্যমগ্রাম থানায় জিমের মালিকদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযোগপত্রে লেখা হয়েছে, “গোটা বছরের জন্য আমরা জিম প্যাকেজের টাকা দিয়ে দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা খোলার লক্ষণ দেখছি না। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই। আমাদের অনুরোধ আপনারা যদি দয়া করে এই ব্যাপারে অনুসন্ধান করে ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেন, তবে ভাল হয়।” অভিযোগপত্রের সঙ্গে, জিমে টাকা জমা দেওয়ার বিল থেকে যাবতীয় অফিসিয়াল নথিও জমা দিয়েছেন অভিযোগকারীরা।
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রত্যেকটা জিনিসের সময় থাকে। যারা নাম নথিভুক্ত করেছেন তাঁরা নিশ্চয়ই সময়মতো সবকিছু পেয়ে যাবেন। নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে। তার জন্যই জিমটা বন্ধ করা হয়েছে। আমি এতটাই আমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত যে ও দিকে সময় দিতে পারছি না। কিন্তু যারা যারা টাকা দিয়েছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের টাকাটা পেয়ে যাবেন।”